বারবার দুর্ঘটনা, জাতীয় সড়কে উড়ালপুল দাবি

মাঝে মাঝেই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটার কারণে উড়ালপুলের দাবি উঠল দু’নম্বর জাতীয় সড়কের বিবেকানন্দ মোড়ে। এই দাবিতে ইতিমধ্যেই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে দাবিপত্র পাঠিয়েছেন আসানসোলের স্থানীয় বাসিন্দারা। দু’নম্বর জাতীয় সড়কে সব সময়েই প্রবল গতিতে ছুটে চলেছে যানবাহন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানিগঞ্জ শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৪ ০০:৪৩
Share:

মাঝে মাঝেই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটার কারণে উড়ালপুলের দাবি উঠল দু’নম্বর জাতীয় সড়কের বিবেকানন্দ মোড়ে। এই দাবিতে ইতিমধ্যেই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে দাবিপত্র পাঠিয়েছেন আসানসোলের স্থানীয় বাসিন্দারা।

Advertisement

দু’নম্বর জাতীয় সড়কে সব সময়েই প্রবল গতিতে ছুটে চলেছে যানবাহন। কিন্তু যাতায়াতের অন্য পথ না থাকায় বিবেকানন্দ মোড়ের আশপাশের গ্রামের বাসিন্দাদের ঝুঁকি নিয়েই এই জাতীয় সড়ক ব্যবহার করতে হয়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী, জাতীয় সড়ক কোনও লোকবসতির মধ্যে দিয়ে যেতে পারে না। তাই ২০০১ সালে জিটি রোডকে দু’নম্বর জাতীয় সড়ক হিসেবে ঘোষণা করা হলেও জনবসতিকে এড়িয়ে রাস্তা সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আশপাশে জনবসতি থাকায় আসানসোল শহর থেকে ঝাড়খণ্ডের নিরসা পর্যন্ত ২৫ কিমি মূল রাস্তাকে বাদ দিয়েই নতুন রাস্তা তৈরি হয়। কিন্তু পরিকল্পনা থাকলেও জনবসতিকে পুরোপুরি বাদ দেওয়া যায়নি। নতুন ভাবে সম্প্রসারিত জিটি রোডের পাশেই থেকে যায় বিবেকানন্দ মোড়। এই মোড়ের পাশে রয়েছে গাড়ুই, গোবিন্দপুর, কন্যাপুর, পাঁচগাছিয়া, সড়াকডিহি-সহ বেশ কিছু গ্রাম।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বিবেকানন্দ মোড় খনি শিল্পাঞ্চলে অন্যতম ব্যস্ত জায়গা। ফলে যানবাহন ও মানুষের চাপও থাকে বেশি। কিন্তু বরাকর থেকে দুর্গাপুর পর্যন্ত জাতীয় সড়কের পাশে কোনও সার্ভিস রোড তৈরি না হওয়ায় তাঁদের যে কোনও প্রয়োজনেই জাতীয় সড়ক ব্যবহার করতে হয়। জাতীয় সড়কে দ্রুতগামী যানের সঙ্গে অভ্যস্ত না হওয়ায় তখনই ঘটে দুর্ঘটনা।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দা অজয় প্রসাদ বলেন, “২০০১ সালে আসানসোল পুরসভার বর্তমান এক মেয়র পারিষদের বাবা-সহ দু’ জন বিবেকানন্দ মোড়ে দুর্ঘটনায় মারা যান। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ওই মোড়ের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। উড়ালপুল থাকলে দুর্ঘটনাগুলি ঘটত না।”

তৃণমূল প্রভাবিত মোটর ট্রান্সপোর্ট ওয়াকার্স ইউনিয়নের আসানসোল মহকুমা শাখার সাধারণ সম্পাদক রাজু অহলুওয়ালিয়ার দাবি, “ওই গুরুত্বপূর্ণ মোড় অদক্ষ অস্থায়ী ট্রাফিক কর্মী দিয়ে সামলানো যাবে না। উড়ালপুল না হলে বিবেকানন্দ মোড়ে পথ দুর্ঘটনা কমা সম্ভব নয়।”

আসানসোল মেগা সিটি সিটিজেন ফোরামের সম্পাদক বুলু চট্টোপাধ্যায় জানান, তাঁরা ইতিমধ্যেই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে উড়ালপুলের দাবিতে গণস্বাক্ষর সম্বলিত একটি দাবিপত্র পাঠিয়েছেন। আসানসোল পুরসভার মেয়র পারিষদ অনিমেষ দাসের আশ্বাস, “পুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কথা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি উড়ালপুল নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার কথা।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন