বধূকে খুনে ধৃত স্বামী-সহ তিন

এক বধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে মঙ্গলকোটের কৈচর ফাঁড়ির পুলিশ। মৃতের নাম সুমিত্রা চৌধুরী (২৭)। রবিবার সকালে ক্ষীরগ্রাম থেকে ওই বধূর মেলে। রাতেই তাঁর স্বামী উপল চৌধুরী, শ্বশুর সন্দীপ চৌধুরী ও দেওর তপন চৌধুরীকে ধরে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুমিত্রার বাপের বাড়ি মঙ্গলকোটেরই বেলগ্রামে। তাঁর বাবা তপনবাবু রবিবার দুপুরে কৈচর ফাঁড়িতে অভিযোগে জানান, এ দিন সকাল সাতটা নাগাদ তিনি ফোনে জানতে পারেন, তাঁর মেয়ে মারা গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মঙ্গলকোট শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০১৪ ০২:৩৫
Share:

এক বধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে মঙ্গলকোটের কৈচর ফাঁড়ির পুলিশ। মৃতের নাম সুমিত্রা চৌধুরী (২৭)। রবিবার সকালে ক্ষীরগ্রাম থেকে ওই বধূর মেলে। রাতেই তাঁর স্বামী উপল চৌধুরী, শ্বশুর সন্দীপ চৌধুরী ও দেওর তপন চৌধুরীকে ধরে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুমিত্রার বাপের বাড়ি মঙ্গলকোটেরই বেলগ্রামে। তাঁর বাবা তপনবাবু রবিবার দুপুরে কৈচর ফাঁড়িতে অভিযোগে জানান, এ দিন সকাল সাতটা নাগাদ তিনি ফোনে জানতে পারেন, তাঁর মেয়ে মারা গিয়েছে। মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে এসে দেখেন, মাটির বাড়ির দোতলায় অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় সুমিত্রা পড়ে রয়েছে। বাড়িতে আর কেউ নেই। এরপরেই শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মেয়েকেপুড়িয়ে মেরে পালিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, বছর বারো আগে সুমিত্রাদেবীর সঙ্গে উপলবাবুর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কাটোয়া মহকুমা আদালতে বধূ নির্যাতনের মামলাও করেছিলেন সুমিত্রাদেবী। মামলা করার আগে থেকেই অবশ্য তিনি দুই সন্তান নিয়ে বাপের বাড়িতে থাকতেন। তবে কয়েকদিন আগে এক আত্মীয়ের মৃত্যু হওয়ায় শ্বশুরবাড়ি ফিরে এসেছিলেন তিনি। সুমিত্রাদেবীর বাবা বলেন, “এই পরিণতি হবে, ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারিনি।” আজ, সোমবার ধৃতদের আদালতে তুলবে পুলিশ।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন