নিরাপত্তার স্বার্থে বড় পুজো মণ্ডপগুলিতে সিসিটিভি লাগানোর নির্দেশ দিল আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেট।
কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর সময়ে আসানসোলের বেশ কিছু বড় পুজো ও তার আশপাশে রীতিমতো ভিড় হয়। চুরি, ছিনতাই বা শ্লীলতাহানির মতো ঘটনার অভিযোগ আসে সেই সব এলাকা থেকে। এই ধরনের দুষ্কর্ম রুখতেই বড় পুজোগুলিতে সিসি ক্যামেরা লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ আরও জানায়, ভিড়ের চোটে অনেক পুজো মণ্ডপে গাড়ি যাওয়ার উপায় থাকে না। কিন্তু কোনও জরুরি পরিস্থিতিতে যাতে পুলিশ বা দমকলের গাড়ি যেতে পারে, সে জন্য এ বার ব্যবস্থা রাখতে বলা হচ্ছে পুজো কমিটিগুলিকে। মণ্ডপে জরুরি দরজা রাখতে বলেছে পুলিশ।
আসানসোলের বার্নপুর রোড এলাকায় একাধিক বড় পুজো হয়। এমনিতেই এই রাস্তায় ভিড়ভাট্টা থাকে। পুজোর সময়ে রাস্তায় মানুষের ঢল আরও বাড়ে। এডিসিপি(সেন্ট্রাল, ট্রাফিক) বিশ্বজিৎ ঘোষ জানান, পুজো উদ্যোক্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, রাস্তার দু’পাশ যেন জবরদখল করে দোকান বা অন্য কিছু বসানো না হয়। প্রতি মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ঢোকা-বেরোনোর পৃথক দরজা, ভিড় সামলাতে পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক, প্রতিটি মণ্ডপে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ।
এডিসিপি (ট্রাফিক) বিশ্বজিৎবাবু বলেন, “শহরে এই সময়ে যান নিয়ন্ত্রণ জরুরি। বেশ কিছু এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়ে। ওই সব অঞ্চলগুলিতে একমুখি যান চলাচল ব্যবস্থা রাখা হবে।” তিনি জানান, রাস্তায় সারাক্ষণ পুলিশের মোবাইল ভ্যান থাকবে। দর্শনার্থীরা ১০০ নম্বরে ডায়াল করে পুলিশি সহায়তা পাবেন। পুজোর সময়ে শহরে মোটরবাইক চলাচলের গতির দিকে কড়া নজর রাখা হবে। দমকলের তরফে পুজো কমিটিগুলিকে অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র রাখতে বলা হয়েছে। দমকলের ইঞ্জিন ঢোকা-বেরোনোর জন্য বিকল্প রাস্তা রাখারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।