ভয় দেখিয়ে বারবার ধর্ষণের অভিযোগ

মোবাইলে তোলা অশালীন ছবি ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে বর্ধমানের সালানপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৪ ০১:৩৫
Share:

মোবাইলে তোলা অশালীন ছবি ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে বর্ধমানের সালানপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। অভিযুক্ত যুবক পলাতক। সোমবার সকালে তার বাড়ি ভাঙচুর করে এলাকার কিছু লোকজন। অভিযুক্তের পরিবারের অবশ্য দাবি, এই অভিযোগ মিথ্যা।

Advertisement

সালানপুরের সংগ্রামগড় এলাকার বছর ত্রিশের ওই মহিলা জানান, তিনি আশপাশের খাদান থেকে কয়লা কুড়োনোর কাজ করেন। পুলিশের কাছে তিনি অভিযোগ করেন, বছর দুয়েক আগে এক দিন কয়লা কুড়োনোর সময়ে স্থানীয় যুবক কালীচরণ বাউরি তাঁর উপরে চড়াও হয়। ধর্ষণের পাশাপাশি মোবাইলে কিছু আপত্তিকর ছবিও তুলে রাখে সে। তার পর থেকে ওই ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বেশ কয়েক বার তাঁকে ধর্ষণ করে কালীচরণ। মহিলা অভিযোগ করেন, রবিবার সকালে মোহনপুর কোলিয়ারি লাগোয় ফাঁকা রাস্তায় তাঁকে একা পেয়ে ফের ধর্ষণের চেষ্টা করে ওই যুবক। তিনি চিৎকার করলে সে পালায়।

মহিলার চিৎকার শুনে জড়ো হন আশপাশের লোকজন। ঘটনার কথা শুনে ক্ষোভ-বিক্ষোভ শুরু হয়। স্থানীয় বাসিন্দা তথা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তপন চন্দ জানান, সে দিন সন্ধ্যায় এলাকার লোকজন এই ঘটনা নিয়ে কথা বলতে অভিযুক্তের বাড়ি যান। কিন্তু তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তার পরেই ওই মহিলাকে নিয়ে থানায় যান গ্রামবাসীরা। পুলিশ জানায়, অভিযোগ পাওয়ার পরেই মহিলাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে। আদালতে অভিযোগকারিণীর গোপন জবানবন্দি নেওয়ার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।

Advertisement

অভিযুক্তের স্ত্রী প্রতিমা বাউরি গত পঞ্চায়েত ভোটে ওই এলাকা থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন। এ দিন সকালে এক দল লোক তাঁদের বাড়ি ভাঙচুর করে। বাড়ির লোকজনকে মারধর করা হয় বলেও সামডিহি ফাঁড়িতে অভিযোগ করেছেন প্রতিমাদেবীরা। তিনি অবশ্য স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা মানতে চাননি। তাঁর দাবি, “এই অভিযোগ একেবারে মিথ্যা। আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত হয়েছে।” তৃণমূলের সালানপুর ব্লক সভাপতি ধরম কর্মকারের বক্তব্য, “প্রতিমা আমাদের কর্মী। কিন্তু তাঁর স্বামীর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন