নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ের বন্দোবস্ত করেছিল তার পরিবার। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাছ থেকে সেই খবর পেয়ে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার রাতে গ্রামে গিয়ে তা রুখলেন বিডিও সুশান্ত মণ্ডল। মঙ্গলকোটের চৈতন্যপুর গ্রামে আজ, মঙ্গলবার সেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।
মঙ্গলকোটের বিডিও বলেন, “একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা থেকে খবর পেয়ে আমি নিজেই গ্রামে ছুটে আসি। সেখানে গিয়ে পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে কথা বলে নাবালিকার বিয়ে আটকানো সম্ভব হয়েছে।” এর আগেও ওই বিডিও বেশ কিছু নাবালিকার বিয়ে আটকাতে উদ্যোগী হয়েছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বছর তেরোর মেয়েটি স্থানীয় মাথরুনের নবীনচন্দ্র বিদ্যায়তনের ছাত্রী। তার বাবা দিনমজুরির কাজ করেন। স্কুল সূত্রে জানা যায়, নবম শ্রেণির ছাত্রীটি পড়াশোনায় বেশ ভাল। তা সত্ত্বেও পরিবার থেকে মঙ্গলবার বিয়ের দিন ঠিক করা হয়েছিল। মঙ্গলবার বর্ধমানের তেঁতুলিয়া গ্রামেক পাত্রের সঙ্গে নাবালিকার বিয়ে হত। সোমবার বিয়ের প্রস্তুতিও সারা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তা রোখা গিয়েছে। মেয়েটি এ দিন বিডিওকে জানান, তাঁর বিয়ে করার ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু সে কথা সে কাউকে বলতে পারেনি। প্রশাসনের কর্তারা বাড়ির লোকেদের বোঝান, নাবালিকার মেয়ের বিয়ে দেওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কী কী কারণে নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দেওয়া উচিত নয়, তা বিডিও জানান। ওই পরিবারের হাতে মেয়েটির পড়াশোনার খরচ বাবদ প্রশাসন আর্থিক সাহায্যও তুলে দেয়। বিডিও সুশান্ত মণ্ডল বলেন, “যে কোনও প্রয়োজনে প্রশাসন ওই পরিবারের পাশে থাকবে বলে জানিয়ে এসেছি।” ওই নাবালিকার বাবা বলেন, “১৮ বছরের আগে আমরা আর মেয়ের বিয়ে দেব না। ও পড়াশুনো চালিয়ে যাক। পাত্রের বাড়িতেও জানিয়ে দিয়েছি, এখন আর মেয়ের বিয়ে দেব না।”