ভোটের আর দশ দিনও বাকি নেই। প্রচারের এখন স্লগ ওভার। তাই রবিবারের সকাল থেকে সন্ধ্যা ভোটারদের কাছে পৌঁছাতে ঝাঁপিয়ে পড়ল সব কটি রাজনৈতিক দল। কোথাও প্রার্থী ঘুরলেন বাজারে, আবার কোথাও প্রার্থী ব্যস্ত থাকলেন রোড শো ও জনসভায়।
এ দিন সকালে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে কাঁকসার ডাকবাংলো মোড় থেকে প্রচার শুরু করেন বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মমতাজ সঙ্ঘমিতা। শেরপুর, মাধবমাঠ, প্রয়াগপুর ঘুরে তিনি ঢুকে পড়েন কাঁকসা হাট এলাকায়। এখানে বৃহস্পতিবার ও রবিবার হাট বসে। রবিবারের বাজারে গিয়ে তৃণমূল প্রার্থী ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের সঙ্গেই কথা বলেন। প্রার্থীকে হাতের সামনে পেয়ে ক্রেতাদের কেউ কেউ অনুযোগ করেন, আলুর দাম আবার বাড়ছে। প্রার্থী ব্যবসায়ীদের কাছে আলুর দাম জানতে চাইলে তাঁরা জানান, কেজি প্রতি ১৪ টাকা। তখন তৃণমূলপ্রার্থী ব্যবসায়ীদের আলুর দাম দু’টাকা কমানোর অনুরোধ করেন। প্রার্থী চলে যাওয়ার পরে এক ব্যবসায়ী জানান, আড়ত থেকে যে দামে তাঁরা আলু পাচ্ছেন তাতে দাম কমানো মুশকিল। তিনি বলেন, “তবু উনি অনুরোধ করলেন। দেখা যাক কিছু করতে পারি কী না!” এ দিন সন্ধ্যায় দুর্গাপুরের ডিপিএল কলোনির সি-জোন এলাকায় জনসভা করে তৃণমূল। উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক অলোক দাস, দুর্গাপুরের মেয়র অপূূর্ব মুখোপাধ্যায়-সহ অন্যন্য নেতারা।
সিপিএম প্রার্থী সাইদুল হকের সমর্থনে দুর্গাপুর শহরের ফুলঝোড়ে জনসভা হয়। সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন দলের জেলা সম্পাদক অমল হালদার। বীরভূমে দলীয় সমর্থক শেখ হিরালালের খুনের প্রতিবাদে নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সভা। অমলবাবু দাবি করেন, “মুখ্যমন্ত্রীর প্ররোচনাতেই খুনের ঘটনা ঘটেছে।” তাঁর অভিযোগ, “প্রচারের মঞ্চকে রীতিমতো খিস্তি খেউরের মঞ্চে পরিণত করে ফেলেছে তৃণমূল।” সারদা’র আমানত থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি কেনার জন্য কোটি টাকার উপরে খরচ বলে তিনি শুনেছেন জানিয়ে অমলবাবুর অভিযোগ, “তৃণমূলের কিছু নেতা-মন্ত্রীদের দিন ঘনিয়ে আসছে। যত সময় এগোচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর তত মাথা গরম হচ্ছে।” তাঁর আরও দাবি, গত তিন বছরে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে একটিও নতুন কারখানা হয়নি। উল্টে কর্মী ছাঁটাই হয়েছেন। তৃণমূল নেতারা কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য দলীয় কর্মী-সমর্থকদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন অমলবাবু।
বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী এ দিন রোড শো করলেন কাঁকসার গোপালপুর এলাকায়। কংগ্রেস প্রার্থী প্রদীপ অগস্তি সকালে বুদবুদ ও মানকরে রোড শো করেন। বিকালে রোড শো করেন পানাগড়ে। প্রদীপবাবুর দাবি, একটু দেরিতে শুরু করলেও তাঁর প্রচারে ভাল সাড়া মিলছে।