লুঠ-মার সত্ত্বেও পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না, নালিশ সিপিএমের

ভোট পরবর্তী হিংসায় দলের বেশ কিছু কর্মী ঘরছাড়া। গ্রামে গ্রামে কর্মীদের বাড়ি লুঠ, মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে দেওয়া চলছে, তবু অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ জানাল সিপিএম। মঙ্গলবার জেলার নানা প্রান্তে দলীয় কর্মীদের উপর অত্যাচারের এমন ৫০টি ঘটনা উল্লেখ করে জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয় সিপিএমের জেলা নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, মেমারি, ভাতার, জামলপুর, খণ্ডঘোষ, মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম, কাটোয়া, কাঁকসা, দুর্গাপুর ইত্যাদি জায়গায় কর্মীদের উপর অত্যাচার চলছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৪ ০১:০১
Share:

ভোট পরবর্তী হিংসায় দলের বেশ কিছু কর্মী ঘরছাড়া। গ্রামে গ্রামে কর্মীদের বাড়ি লুঠ, মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে দেওয়া চলছে, তবু অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ জানাল সিপিএম। মঙ্গলবার জেলার নানা প্রান্তে দলীয় কর্মীদের উপর অত্যাচারের এমন ৫০টি ঘটনা উল্লেখ করে জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয় সিপিএমের জেলা নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, মেমারি, ভাতার, জামলপুর, খণ্ডঘোষ, মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম, কাটোয়া, কাঁকসা, দুর্গাপুর ইত্যাদি জায়গায় কর্মীদের উপর অত্যাচার চলছে।

Advertisement

সিপিএমের বর্ধমান জেলা কমিটির সম্পাদক অমল হালদার বলেন, “নির্বাচনের পরে সন্ত্রাস লাগামছাড়া হয়েছে। আমাদের যে সব কর্মী এজেন্ট হয়েছিলেন বা দলের হয়ে মিটিং মিছিল করেছিলেন তাঁদের চিহ্নিত করে মারধর করা হচ্ছে। বাড়ি লুঠ করা হচ্ছে।” জেলা জুড়ে কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও তাঁর দাবি। তাঁর অভিযোগ, শুধু বাড়িতে ঢুকে মারধর বা লুঠপাট নয়, মেমারি থানার বস্তেপোতা গ্রামে তৃণমূলের লোকেরা আমাদের সমর্থক কাজল শেখকে খুন করেছে। ১৭ মে মেমারির প্রাক্তন বিধায়ক ও সিপিএমের মেমারি ১ জোনাল কমিটির সম্পাদক তাপস চট্টোপাধ্যায়কে এমন মারধর করা হয়েছে যে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। বারাবনির কল্যাণপুরে তৃণমূলের ছোড়া বোমায় কয়েকটি শিশু আহত হয়েছে। জামালপুরে মাকর্সবাদী ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রাক্তন বিধায়ক সমর হাজরাকেও মারধর করা হয়েছে। মঙ্গলকোটে প্রতিদিন সিপিএমের কর্মী ও সমর্থকদের উপর তৃণমূল আশ্রিত সমাজবিরোধীরা অত্যাচার চালাচ্ছে। অমলবাবুর দাবি, মহকুমাশাসক, বিডিওকে জানিয়েও কোনও ফল হয়নি। পুলিশের ভূমিকা নেহাত দর্শকের। জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন বলেন, “সিপিএমের নেতারা আমাকে কিছু অভিযোগ জানিয়ে গিয়েছেন। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে পুলিশকে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। তার পরেও কেন এমন অভিযোগ আসছে, জানি না। ফের এ ধরনের ঘটনা ঘটলে পুলিশকে উপযুক্তে ব্যবস্থা নিতে বলা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন