স্টেশনে দুই শিশু, ভিখারি তুলে দিলেন চাইল্ডলাইনের হাতে

ভিক্ষে করার সময়ে প্ল্যাটফর্মে কুড়িয়ে পাওয়া দু’টি শিশুকে দু’দিন নিজেদের কাছে রাখার পরে বর্ধমান চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দিলেন কেতুগ্রামের এক বাসিন্দা। তাঁর অভিযোগ, শুক্রবার দুপুরে কাটোয়া স্টেশনে শিশু দু’টিকে পেয়ে রেলপুলিশের হাতে তুলে দিতে গেলে তারা দায়িত্ব নিতে চায়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০০:২৯
Share:

ভিক্ষে করার সময়ে প্ল্যাটফর্মে কুড়িয়ে পাওয়া দু’টি শিশুকে দু’দিন নিজেদের কাছে রাখার পরে বর্ধমান চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দিলেন কেতুগ্রামের এক বাসিন্দা। তাঁর অভিযোগ, শুক্রবার দুপুরে কাটোয়া স্টেশনে শিশু দু’টিকে পেয়ে রেলপুলিশের হাতে তুলে দিতে গেলে তারা দায়িত্ব নিতে চায়নি। রেলপুলিশ অবশ্য এই অভিযোগ মানেনি। আজ, সোমবার শিশু দু’টিকে জেলা শিশুকল্যাণ কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানান চাইল্ড লাইন-এর কর্মীরা।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে কাটোয়া স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে শিশু দু’টিকে পড়ে থাকতে দেখেন পুতুল হাজরা। তিনি কেতুগ্রামে স্যার আশুতোষ মেমোরিয়াল স্কুলের পিছনে থাকেন। তাঁর ভাই সুনীল হাজরা বলেন, “অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পরেও শিশু দু’টির কোনও অভিভাবক দেখতে পায়নি দিদি। কাউকে দেখতে না পেয়ে তিনি শিশু দু’টিকে বাড়ি নিয়ে আসে। তার পর পাড়ার বাসিন্দাদের পরামর্শে শনিবার সকালে তাদের নিয়ে কাটোয়া জিআরপি-র কাছে যাই।” তাঁর অভিযোগ, “দিদির সঙ্গে আমিও জিআরপি-র কাছে গিয়েছিলাম। তারা তো ওদের নিতেই চাউল না। উল্টে, শিশু দু’টিকে যেখান থেকে পাওয়া গিয়েছে, সেখানে রেখে দিয়ে আসার পরামর্শ দেয় জিআরপি। আমরা বাড়ি ফিরে এসে থানার দ্বারস্থ হই।”

কাটোয়া জিআরপি-র ওসি অভিজিত্‌ রায় অবশ্য বলেন, “কোথাও একটা ভুল হচ্ছে। সব কর্মীদের জিজ্ঞাসা করেছি, তাঁরা জানিয়েছেন, এ রকম কিছু ঘটেনি। আমাদের কাছে এ রকম শিশুরা এলে আমরা প্রথমে খোঁজ নিয়ে থাকি। তার পর চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেওয়া হয়।”

Advertisement

শিশু দু’টির একটির বয়স ৪ বছর, অন্য জনের দু’বছর। রবিবার তাদের চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেওয়ার পরে কাঁদতে কাঁদতে সুনীলবাবু বলেন, “তিন দিন ধরে শিশু দু’টিকে নিজের হাতে খাওয়ানো, চান করানো সব করেছি। চলে যাওয়ার পর খুবই কষ্ট হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন