Suvendu Adhikari

স্থানীয় সূত্রে প্রাপ্ত শুভেন্দুর ‘তথ্য’ খতিয়ে দেখে খারিজ করে দিল পুলিশ! নাম না-করে বিরোধী দলনেতাকে মনে করাল ‘আইন’

দুই ব্যক্তির বাসস্থানের ঠিকানা, ছাদে বসানো যন্ত্রের ছবি পোস্ট করে শুভেন্দু বিষয়টি দেখার জন্য ‘অনুরোধ’ করেছিলেন রাজ্য পুলিশ এবং এনআইএ-কে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বারুইপুর পুলিশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, বিষয়টি ভিত্তিহীন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:১৭
Share:

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ছবি: সংগৃহীত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, বারুইপুরের রাসমাঠ সংলগ্ন একটি আবাসনে দু’জন কাশ্মীরি রয়েছেন। তাঁরা সেই আবাসনের ছাদে একটি যন্ত্রও বসিয়েছেন। যা উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন দূরবর্তী জায়গায় যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করা যায়।

Advertisement

শুভেন্দু অধিকারীর সমাজমাধ্যমে করা সেই পোস্ট। ছবি: সংগৃহীত।

দুই ব্যক্তির বাসস্থানের ঠিকানা, ছাদে বসানো যন্ত্রের ছবি পোস্ট করে শুভেন্দু বিষয়টি দেখার জন্য ‘অনুরোধ’ করেছিলেন রাজ্য পুলিশ এবং এনআইএ-কে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বারুইপুর পুলিশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, বিষয়টি ‘ভিত্তিহীন’। সেটিও জানানো হল এক্স-এ পাল্টা পোস্ট করে। পুলিশের তরফে অবশ্য শুভেন্দুর নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবে এক্স পোস্ট থেকে যে বিষয়টি তাদের নজরে এসেছিল, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, যাচাই না করে এই ধরনের বিষয় সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে দেওয়া ‘আইনত দন্ডনীয়’।

শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে বারুইপুর পুলিশের তরফ থেকে করা সেই জবাবি পোস্ট। ছবি: সংগৃহীত।

শুভেন্দু তাঁর পোস্টে জানিয়েছিলেন, ওই এলাকা থেকেই তাঁর কাছে তথ্য পৌঁছেছে। পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, তাঁরা প্রাথমিক তদন্ত করে দেখেছেন, ওই ঠিকানায় গত তিন সপ্তাহ আগে দু’জন ভাড়া থাকতে এসেছেন। তাঁরা দু’জনেই মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা। কাশ্মীরের নন। ধর্মীয় পরিচয়ে এক জন হিন্দু, অন্য জন মুসলিম। দু’জনেই পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। তাঁরা ব্যবসার জন্য জমিও নিয়েছেন। যে যন্ত্রের কথা বলা হয়েছে, তা আসলে ‘জিও ফাইবার’ বলে জানিয়েছে পুলিশ। যা ব্যবহার করেন এলাকার অনেক মানুষ। এর মধ্যে ‘সন্দেহজনক’ কিছু নেই। বারুইপুর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই দুই ব্যক্তির আধার কার্ডও পরীক্ষা করা হয়েছে। পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সন্দেহজনক কিছু দেখলে তা প্রশাসনকে কেউ জানাবেন, তা তারিফযোগ্য। কিন্তু তা কখনওই সমাজমাধ্যমের মারফত নয়। তাতে মূল উদ্দেশ্যটাই বিঘ্নিত হয়। এমনকিছু নজরে পড়লে তা সরাসরি পুলিশকে জানান। তাতে তদন্ত বা অনুসন্ধানের সুবিধা হয়। বিবৃতিতে তরফে এ-ও লেখা হয়েছে যে, ‘তথ্য যাচাই না-করে কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে জনসমক্ষে কিছু বলে দেওয়া আইনত দন্ডনীয়।’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement