বিমল গুরুঙ্গের ঘনিষ্ঠ মোর্চা নেতা বরুণ ভুজেলের মৃত্যু নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
গত ২৪ অক্টোবর এসএসকেএম হাসপাতালে ৪৭ বছর বয়সী বরুণ মারা যান। তার আগে প্রায় চার মাস ধরে তিনি বিচারাধীন বন্দি ছিলেন। পুলিশি হেফাজতে অত্যাচারের ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বরুণের স্ত্রী সবিতা।
আজ বিচারপতি এ কে সিক্রি ও বিচারপতি অশোক ভূষণের বেঞ্চে রাজ্যের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি যুক্তি দেন, পুলিশি হেফাজতে বরুণের মৃত্যু হয়নি। ভুল অভিযোগ তোলা হচ্ছে। তিনি জেলে ছিলেন। পরে হাসপাতালে প্রায় এক মাস ভর্তি ছিলেন। মেডিক্যাল রিপোর্ট বলছে, মদ্যপানের আসক্তি ছিল তাঁর।
সবিতার আইনজীবী পি এস পাটওয়ালিয়া পাল্টা যুক্তি দেন, গ্রেফতার হওয়ার আগে বরুণের সুস্থ-সবল চেহারার ছবি রয়েছে। মদ্যপানে আসক্তি থাকলে কী ভাবে তা সম্ভব! তিনি গ্রেফতারের আগের ও পরের ছবি দেখাতে চান বিচারপতিদের। অভিযোগ তোলেন, মেডিক্যাল রিপোর্টে বরুণের শরীরে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের কথা বলা হয়েছে। মনু সিঙ্ঘভি পাল্টা যুক্তি দেন, জেলে ও হাসপাতালে ভুজেলের স্ত্রী ও ভাই নিয়মিত তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন।
এর পরেই বিচারপতি সিক্রি মামলা খারিজ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। পাটওয়ালিয়া আবেদন জানান, তাঁরা অন্য কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হতে চান। তাই মামলা প্রত্যাহারের অনুমতি দেওয়া হোক। বিচারপতিরা তাতে বাধা দেননি।