ছত্তীসগঢ়ের জঙ্গলে যৌথবাহিনী। ফাইল চিত্র।
ছত্তীসগঢ়ের বস্তার ডিভিশনে আবার মাওবাদী দমন অভিযানে সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। বৃহস্পতিবার সুকমা জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এক মহিলা-সহ তিন মাওবাদী জঙ্গি নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। এই নিয়ে গত দু’বছরে সে রাজ্যে ৫০০-র বেশি মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে বলে ছত্তীসগঢ় সরকারের দাবি।
সুকমার জেলাসদর থেকে প্রায় দেড়শো কিলোমিটার দূরে তেলঙ্গানা সীমানা লাগোয়া গোলাপল্লি এলাকার জঙ্গলে বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা নাগাদ ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং সিআরপিএফের যৌথবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয় মাওবাদী বাহিনীর। পুলিশের দাবি, নিহতেরা সকলেই নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই মাওবাদীর সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপল্স লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র সদস্য বলে পুলিশের দাবি। চলতি বছরে এই নিয়ে ২৮৪ জন মাওবাদী নেতা-কর্মী নিহত হলেন ছত্তীসগঢ়ে। এর মধ্যে বস্তার ডিভিশনের সাতটি জেলায় ২৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে সংঘর্ষে।
যৌথবাহিনীর ধারাবাহিক হানাদারিতে কোণঠাসা মাওবাদীরা সীমানা টপকে পড়শি অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলঙ্গানায় আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে দাবি পুলিশের। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগামী বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে মাওবাদীদের নির্মূল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাঁর ডেপুটি নিত্যানন্দ রাই চলতি শীতকালীন অধিবেশনে সংসদে বলেছেন, ‘‘সশস্ত্র নকশালপন্থা উপদ্রুত জেলার সংখ্যা ২০১৮ সালের এপ্রিলে ১২৬টি ছিল, যা ২০২১ সালের জুলাই মাসে ৯০টি, ২০২৪ সালের এপ্রিলে ৭০টি, ২০২৫ সালের এপ্রিলে ৩৮টি এবং ২০২৫ সালের অক্টোবরে আরও ১১টিতে নেমে এসেছে।’’ মোট ২৭টি জেলা নিরাপত্তা নজরদারির তালিকায় রয়েছে জানিয়েছেন তিনি।