Bardhaman

আনন্দবাজার অনলাইনের খবরের জের! ‘ভিআইপি সাজার’ দিন শেষ, বিডিওর গাড়িতে আর নেই নীলবাতি

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, খবর নিয়ে হইচইয়ের পরে জেলাশাসক কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাঁর সেই নির্দেশ মেনেই নিজেদের গাড়ি থেকে নীলবাতি খুলে নিয়েছেন অন্য বিডিওরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:০০
Share:

জামালপুরের বিডিও পার্থসারথি দে-র গাড়ি। তাতে নীলবাতি আর নেই। —নিজস্ব চিত্র।

‘ভিআইপি সাজা’র দিন শেষ! আনন্দবাজার অনলাইনের খবরের জেরে বর্ধমানের জামালপুরের বিডিওর গাড়ি থেকে সরে গেল নীলবাতি। শুধু জামালপুরের বিডিও-ই নন, প্রশাসনিক সূত্রে খবর, খবর নিয়ে হইচইয়ের পরে জেলাশাসক কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাঁর সেই নির্দেশ মেনেই নিজেদের গাড়ি থেকে নীলবাতি খুলে নিয়েছেন অন্য বিডিওরা।

Advertisement

সুপ্রিম কোর্ট, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের পর গাড়িতে নীল-লালবাতি লাগানোর উপর রাশ টেনেছিল নবান্ন। কারা গাড়িতে লালবাতি বা নীলবাতি লাগাতে পারবেন, তার তালিকা প্রকাশ করেছিল সরকার। কিন্তু সেই তালিকায় কোথাও বিডিওদের কথা ছিল না। তা সত্ত্বেও দেখা যায়, নীলবাতির গাড়িতে ঘুরছেন পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের বিডিও পার্থসারথি দে! এ বিষয়ে জানতে চাওয়ায় তাঁর জবাব ছিল, “অনেক বিডিওই গাড়িতে নীলবাতি ব্যবহার করছেন। তাই আমিও করছি।’’ প্রশাসনিক সূত্রেও খবর, পার্থসারথির কথাই ঠিক। শুধু তিনি নন, ভাতার, খণ্ডঘোষ, আউসগ্রাম-১ ও ২, রায়না-১ ও ২, গলসি-২-সহ আরও কয়েকটি ব্লকের বিডিওর গাড়িতে নীলবাতি লাগানো রয়েছে।

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, আনন্দবাজার অনলাইনে খবর প্রকাশিত হওয়ার পরেই বিডিওদের নীলবাতির গাড়ি ব্যবহার বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন জেলাশাসক আয়েশা রানি। এর পরেই নিজেদের গাড়ি থেকে নীলবাতি খুলে নেন জেলার বিডিওরা। জামালপুরের বিডিও পার্থসারথির গাড়িতেও আর নীলবাতি নেই। তাঁর গাড়ির সামনে লাগানো থাকা হুটারটিও রঙিন কাপড় দিয়ে মোড়া। নীলবাতি যে খুলে নেওয়া হয়েছে, সে কথা পার্থসারথি নিজেই স্বীকার করেছেন। তবে এ বিষয়ে আর বিশেষ কিছু বলতে চাননি তিনি। জেলাশাসকও এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement