ভারতীয় সেনা নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে পাকিস্তানে ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটি নিকেশ করে দিয়ে আসায় বিজেপি কর্মীরা উচ্ছ্বসিত। কিন্তু সেই উচ্ছ্বাস থেকে দেশের ভিতরে যাতে কোনও অস্থিরতা তৈরি না হয়, সে জন্যও সতর্ক অমিত শাহরা।
বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত বৃহস্পতিবার বিকেলে দিল্লিতে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে শুধু দেশের সেনাবাহিনীর প্রশংসার মধ্যেই নিজের বক্তব্য সীমাবদ্ধ রাখেন তিনি। পাশাপাশিই, দেশের প্রতিটি রাজ্যের বিজেপি সভাপতিকে ই মেল পাঠিয়ে সংযমের বার্তাও দেন অমিত। ই মেল মারফত দলের রাজ্য সভাপতিদের কাছে অমিতের যে নির্দেশ পৌঁছেছে, সেখানে পরিষ্কার বলা হয়েছে, যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও ভাবেই সাম্প্রদায়িক, উগ্র এবং প্ররোচনামূলক কথাবার্তা বলা যাবে না। কথা বলতে হবে সংযত ভাবে।
যে বিজেপি মেরুকরণের রাজনীতি করতেই অভ্যস্ত, তার সর্বভারতীয় সভাপতির তরফে এ হেন নির্দেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক শিবির। এমনকী, বিজেপি-র রাজ্য সভাপতিদের অমিত আরও বলেছেন, এই সময়ে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলকে আক্রমণ করারও দরকার নেই। শুধুমাত্র ভারতীয় সৈন্যবাহিনীর প্রশংসা করে যাওয়াই হবে এই পরিস্থিতিতে বিজেপি কর্মীদের কাজ।
পর্যবেক্ষকদের মতে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘সার্জিক্যাল’ আক্রমণ হেনে জাতীয়তাবাদের ধুয়ো তুলে বড় মাপের রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চাইছে বিজেপি। তা যাতে নেতা-কর্মীদের অতি উচ্ছ্বাসে ঘেঁটে না যায়, সে জন্যই অমিতদের এই সতর্কতা।