অশান্তির ভয় জয় করেই পাহাড়মুখো বহু পর্যটক

‘দার্জিলিং যাওয়ার ছোট গাড়ি চাই’, শনিবার সকালে ঘোষণা শুনেই প্রি পেড ট্যাক্সি বুথ কাউন্টার প্রায় ঘিরে ফেললেন চালকেরা। গত দেড় দিন ধরে পাহাড়ে যাওয়ার কোনও পর্যটক মেলেনি। নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) স্টেশনের প্রি পেড বুথের সামনে দাঁড়িয়ে গুরুগ্রাম থেকে আসা এক দম্পতি।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০১৭ ০৪:০৭
Share:

অপেক্ষা: শনিবার এনজেপি স্টেশনে। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।

মুখ্যমন্ত্রী পাহাড় থেকে নামতেই সোমবার থেকে অনির্দিষ্ট কালের পাহাড় বন্‌ধের ডাক দিয়েছেন বিমল গুরুঙ্গ। তবুও প্রশাসনে ভরসা রেখেই পাহাড়মুখো বহু পর্যটক।

Advertisement

ভরা মরসুমে বৃহস্পতিবার দার্জিলিং এ অশান্তির আগুন জ্বলতেই আতঙ্কে পাহাড় ছেড়ে নেমে আসতে শুরু করেন পর্যটকরা। শুক্রবার মোটের উপর খালি হয়ে গিয়েছিল পাহাড়। পর্যটকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হয় প্রশাসনও। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতেই শনিবার দেখা গিয়েছে উল্টো ছবি। এ দিন পর্যটকদের অনেকেই গাড়ি ভাড়া করে ঘুরতে যান দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং। বন্‌ধের ঘোষণাতেও তাতে ভাঁটা পড়েনি।

আরও পড়ুন: পাহাড় তপ্ত হতেই সমতলে জোট শেষ

Advertisement

‘দার্জিলিং যাওয়ার ছোট গাড়ি চাই’, শনিবার সকালে ঘোষণা শুনেই প্রি পেড ট্যাক্সি বুথ কাউন্টার প্রায় ঘিরে ফেললেন চালকেরা। গত দেড় দিন ধরে পাহাড়ে যাওয়ার কোনও পর্যটক মেলেনি। নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) স্টেশনের প্রি পেড বুথের সামনে দাঁড়িয়ে গুরুগ্রাম থেকে আসা এক দম্পতি। দার্জিলিঙে গোলমালের খবর জানেন। তবু প্রিপেড ট্যাক্সি নিয়ে শনিবার সকালে রওনা দিলেন পাহাড়ের পথে।

বাস ট্যাক্সিতে চেপে বৃহস্পতিবার রাত থেকে পর্যটকের ঢল নেমেই চলেছে শিলিগুড়িতে। তাঁদের নির্বিঘ্নে বাড়ি ফেরাতে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধে থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে বুঝতে পেরে সংখ্যায় অল্প হলেও শনিবার বেশ কিছু পর্যটক উঠলেন পাহাড়ে। এনজেপির প্রিপেড বুথ সূত্রের খবর, শনিবার ৩৮টি গাড়ি পর্যটক নিয়ে দার্জিলিং গিয়েছিল। কালিম্পঙে গিয়েছে ১৮টি গাড়ি। পর্যটকদের একাংশের দাবি, রাজ্য প্রশাসনের কড়া মনোভাবই
পাহাড়ে ওঠার সাহস জুগিয়েছে তাদের। বেহালার বাসিন্দা সুমন মজুমদার সপরিবারে রিশপে রয়েছেন। ঝামেলার খবর জেনেও নামতে রাজি নন। পরিকল্পনা করছেন রবিবারই ইচ্ছেগাঁও চলে যাওয়ার।

অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসার রাকেশ কুমারের দাবি, ‘‘পাহাড়ে যাওয়ার গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে, হোটেলও খালি। সে কারণেই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। দেশে আইন রয়েছে। ভয়ের কিছু নেই।’’ কলকাতার গড়ফার বাসিন্দা মনোজিৎ দামের কথায় ‘‘একটু ভয় লাগছে ঠিকই। তবে দিদি (মুখ্যমন্ত্রী) কড়া ভূমিকা নিয়েছেন। তেমন কিছু হলে নিশ্চই পাশে থাকবেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন