বেলুড়ের গ্যাস-কাণ্ডের ন’দিন পরে পুলিশ অবশেষে কারখানার মালিককে গ্রেফতার করল। ধৃত ব্যবসায়ীর নাম জয়প্রকাশ জায়সবাল। ঘটনার পর থেকেই তিনি গা ঢাকা দিয়েছিলেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে পুলিশ বেলুড়ের বজরংবলী লোহা বাজার থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত মৃত্যু ঘটানোর মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার তাঁকে হাওড়া আদালতে তোলা হয়।
গত সোমবার সকালে বেলুড়ের বজরংবলীর লোহাপট্টিতে চারটি গ্যাস সিলিন্ডারের মধ্যে একটিতে কাটার সময়ে বিষাক্ত ক্লোরিন গ্যাস বেরিয়ে আসায় কারখানার তিন কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে গঙ্গা ঘাটে নিয়ে যাওয়ার সময়ে দমকল বাহিনী ও পুলিশের অসাবধানতায় লোকালয়ে গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে ৭০ জনের বেশি লোক অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হুলস্থূল বেধে যায়। এর মধ্যে মঙ্গলবার মৃত্যু হয় গ্যাসে অসুস্থ হয়ে কলকাতা মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সন্নু পাণ্ডে নামে ৬০ বছরের এক বৃদ্ধার। এই ঘটনার পরে রাতেই ওই কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। ওই রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, যে সিলিন্ডারগুলি ওই কারখানায় পাওয়া গিয়েছে, সেগুলি হলদিয়া থেকে কিনে এনেছিলেন জয়প্রকাশ। উদ্দেশ্য ছিল, সিলিন্ডারের মোটা লোহার পাত কেটে বিক্রি করা। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে যে পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত ছিল, তা না করেই সিলিন্ডারগুলি কাটার কাজ শুরু হয়। ফলে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ধরনের সিলিন্ডার বজরংবলীর বহু কারখানাতেই এনে কাটাই হয়। এখন পুলিশ ওই কারখানাগুলিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে।