রাজ্যের নানা প্রান্তে দলীয় দফতর গড়ে তোলার জন্য জমি কিনতে শুরু করেছিল বিজেপি। নোট বাতিলের আবহে বিজেপি-র সেই পদক্ষেপ নিয়েই দু’দিন আগে বিধানসভায় প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্ন ছিল, নোট বাতিলের আগাম খবর পেয়েই কি নগদ টাকা জমিতে বিনিয়োগ করেছে বিজেপি?
মুখ্যমন্ত্রীর সেই প্রশ্নের জবাবে এ বার তৃণমূলকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন দিলীপ ঘোষরা। তাঁদের বক্তব্য, বিজেপি-র সব জমির পাকা দলিল ও হিসাব রয়েছে। মমতা পারবেন তো তপসিয়ায় তৃণমূল ভবনের জমির কাগজ দেখাতে?
সোমবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী যখন অমিত শাহদের বিরুদ্ধে জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগ করেছিলেন, তখন সভায় কোনও বিজেপি বিধায়ক ছিলেন না। পর দিন বিধানসভা মুলতবি ছিল। তার পর বুধবার বিধানসভায় নোট বাতিল নিয়ে আলোচনা শুরু হতে তাতে অংশ নেন বিজেপি বিধায়ক তথা দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বক্তৃতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন,‘‘মুখ্যমন্ত্রী কী অভিযোগ করেছেন সব শুনেছি। জেলায় জেলায় বিজেপি যে সব জমি কিনেছে তার সব দলিলে আমার সই রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যদি চান তা হলে দাগ, খতিয়ান, চেক নম্বর সব পাঠিয়ে দিতে পারি।’’ এর পরেই বিজেপি সভাপতি বলেন,‘‘আমরা তো হিসাব দেখিয়ে দেব। আপনারা পারবেন? মমতাদি-কে চ্যালেঞ্জ করছি, তপসিয়ায় তৃণমূল ভবনের জমি কবে, কার থেকে, কত টাকায় কিনেছেন কাগজ দেখান!’’
প্রসঙ্গত, অতীতে মমতা যখন সিঙ্গুর আন্দোলনে ধর্মতলায় অনশনে বসেছিলেন, তখন তপসিয়ার জমি জবরদখল নিয়ে প্রশ্ন তুলতেন বামেরাও। তৃণমূল ভবনের জমি
নিয়ে সেই ভূত কার্যত ফিরে এলো দশ বছর পর।
স্বাভাবিক ভাবেই দিলীপ ঘোষের এই কথায় এ দিন রে রে করে উঠেছেন শাসক দলের বিধায়করা। কিন্তু রে রে করে উঠেও তাঁকে দমানো যায়নি। সিন্ডিকেট, চিট ফান্ড কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গও খুঁচিয়ে তোলেন দিলীপবাবু। এমনকী পরে সভার বাইরে এও বলেন,‘‘শুধু তো তপসিয়ার জমি হিসাব চেয়েছি। রাজ্যে ওঁদের কোনও পার্টি অফিসের জমির কাগজ আছে? থাকলে দেখাক দেখি!’’