গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে এ বার প্রায় ৩৫ শতাংশ আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছে শাসক দল। বিরোধীরা সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছেন, মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন, সন্ত্রাসের ছবি সংবাদমাধ্যমে ধরাও পড়েছে। কিন্তু শাসক দলের প্রশ্ন, গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে বিরোধীরা ছিলেনই বা কোথায়? প্রায় সব বোর্ডই তো তৃণমূলের হাতেই ছিল।
গত কয়েক বছর ধরে রাজ্যের প্রায় সব গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে বিরোধী দলগুলির ঝান্ডা মুছে ফেলা হয়েছিল, সে কথা ঠিক। কিন্তু ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলটা কিন্তু সে রকম ছিল না। গ্রাম পঞ্চায়েতে বিরোধীদের সম্মিলিত আসনসংখ্যা কিন্তু তৃণমূলের চেয়ে খুব কম ছিল না। বোর্ড দখলের নিরিখেও বিরোধীরা খুব পিছিয়ে ছিল না শাসক দলের চেয়ে।
পরে বোর্ড ভাঙানোর খেলা শুরু হয় রাজ্য জুড়ে। বিরোধী শিবির থেকে নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যদের ঝাঁকে ঝাঁকে তৃণমূলে সামিল করা হয়, দখল নেওয়া হয় একের পর এক বোর্ডের।
এক ঝলকে দেখে নিন, ২০১৩ সালে রাজ্যের মোট ৪৮ হাজার ৮০০ গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের মধ্যে কতগুলিতে জিতেছিল তৃণমূল। বামফ্রন্ট, কংগ্রেস, বিজেপি এবং অন্যান্যদের ঝুলিতে গিয়েছিল কত আসন। কোন দলের দখলে ছিল কতগুলি বোর্ড।
এ বার দেখে নেওয়া যাক ২০১৩ সালের গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড ভিত্তিক ফল