রায়কে স্বাগত মমতার

এ দিনের রায়ে খুশি হলেও বিজেপি এ বার পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে আদালতে যাওয়ার কথা ভাবছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:২২
Share:

সহাস্য: কেব্‌ল টিভি সংস্থাগুলির একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। ছবি: সুমন বল্লভ

কলকাতা হাইকোর্টের শুক্রবারের রায়ে শাসক ও বিরোধী সব পক্ষই খুশি। তবে শান্তিপূর্ণ ভোট নিয়ে বিরোধীরা আশঙ্কা প্রকাশ করছে।

Advertisement

রায়কে স্বাগত জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যাঁরা ভোট চাননি, তাঁরাই মামলা করেছিলেন। আমরা ভোটের পক্ষে। গণতন্ত্রকে রক্ষার পক্ষে। আমরা চাই শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে পঞ্চায়েত ভোট যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হোক। কমিশন যত দ্রুত দিন ঘোষণা করবে, তত ভাল।’’ ভোট প্রক্রিয়া শুরুর পরেও মাঝপথে মামলায় ভোট পিছিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘মামলা যাঁরা করেছেন, এটা তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার। মামলার নাম করে অনেক গুলি দিন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এর পরে গরম বাড়বে। ঝড়-বৃষ্টিও হবে। তার সঙ্গে রমজান মাস শুরু হয়ে যাবে।’’

এ দিনের রায়ে খুশি হলেও বিজেপি এ বার পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে আদালতে যাওয়ার কথা ভাবছে। সিপিএমের মতে, এখন যে পরিস্থিতি তাতে বর্তমান নির্বাচন কমিশনারের হাতে ভোটপর্ব কতটা নির্বিঘ্নে মিটবে, সেই সংশয় আছে। কংগ্রেস ভোটে শাসক দলের সন্ত্রাসের আশঙ্কা করে হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে ভোট করার দাবি তুলেছে।

Advertisement

মামলার অন্যতম আবেদনকারী রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই রায়ের পরেও মনোনয়নে ফের বাধা এলে আবার আদালতে যাব।’’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ‘‘দরকারে কমিশনারের পদত্যাগ চাইব।’’ আদালতের রায় নিয়ে কথা বলতে আজ, শনিবার নির্বাচন কমিশনে যাওয়ার কথা বিজেপির।

এ বার এক দিন মনোনয়নের সুযোগ বাড়লেও সেখানে শাসক দল সন্ত্রাস করতে পারে বলে কংগ্রেস ও সিপিএমের আশঙ্কা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘রায়ে খুশি। তবে মনোনয়নে বাধার আশঙ্কা থাকছেই। হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে ভোটটা হলে মানুষ অংশ নিতে পারবে।’’ সিপিএম নেতা রবীন দেবের কথা, ‘‘এই নির্বাচন কমিশনারই দায়িত্বে থাকায় নিশ্চিন্ত হতে পারছি না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন