এলাকার তৃণমূল নেতা মনে করছেন, মানুষের ক্ষোভ!
এলাকার বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা বলছেন, ‘‘সন্ত্রাস করে যে টেকা যায় না, প্রমাণ করে দিলাম।’’
বৃহস্পতিবার আরামবাগের যে পাঁচটি বুথে পুনর্নির্বাচন হল, তার তিনটিতেই জিতে গেলেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল প্রার্থী তথা নির্দলরা। একটিতে জয়ী বিজেপি। তৃণমূলকে সন্তুষ্ট থাকতে হল একটিতে জিতে।
এ বার নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই শাসক দলের বিরুদ্ধে মহকুমায় সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। মনোনয়নপর্বে তা চূড়ান্ত আকার নেয়। ভোটের দিনেও মহকুমার বহু বুথ দখল করে ছাপ্পা মারা, ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের অভিযোগ ওঠে। যদিও কোনও অভিযোগই শাসক দল মানেনি। বিক্ষুব্ধ তৃণমূল তথা নির্দলরা মহকুমার অনেকগুলি বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলে। নির্বাচন কমিশন পাঁচটি বুথের জন্য সেই নির্দেশ দেয়। এর মধ্যে হিয়াৎপুর এমএসএন স্কুলের ২১৭ নম্বর বুথটি তৃণমূল জিতেছে। নির্দল জিতেছে আরান্ডি-২ পঞ্চায়েতের সিয়ারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০৮ নম্বর, রাগপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২১০ এবং ২১১ নম্বর বুথে। বিজেপি জিতেছে পুরশুড়ার চিলাডাঙি উত্তরপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০৫ নম্বর বুথে।
বৃহস্পতিবার ফলাফল জানার পরে তৃণমূলের আরামবাগ ব্লক সভাপতি স্বপন নন্দী বলেন, “দলের দু’-একজনের পাপের ফল ভোগ করতে হচ্ছে।’’ আর নির্দল প্রার্থীদের মধ্যে আরান্ডি-২ পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান বাসুদেব মালিক বলেন, ‘‘সন্ত্রাস করেও ওরা সুবিধা করতে পারল না।’’
বুধবার ভোটের নিরাপত্তার বুথপিছু ৫০-৮০ জন করে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। যা দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বহু ভোটার। কোনও গোলমাল হয়নি। ফল দেখে তাঁদের কেউ কেউ মনে করছেন, ‘‘গত সোমবারেও কড়া নিরাপত্তায় ভোট হলে বোঝা যেত শাসকের কত দৌড়!’’