হাতাহাতি: নির্বাচন কমিশনারের গাড়ি ঘিরে কংগ্রেসের বিক্ষোভ। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী
শাসকদলের সন্ত্রাসের কারণে মনোনয়ন জমা দিতে পারছেন না বিরোধীরা। বিহিত চেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে পুলিশের লাঠি খেতে হল তাঁদের। এমনই অভিযোগ প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের।
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে সরোজিনী নাইডু সরণির রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কংগ্রেস কর্মীরা। ঘণ্টাখানেক পরে দফতরে আসেন কমিশনার
অমরেন্দ্র কুমার সিংহ। তাঁর গাড়ি দফতরের মধ্যে ঢোকার সময়ে কংগ্রেস কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে গেলে তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। সেই সময়ে তাঁদের কর্মীদের উপরে লাঠিচার্জ করা হয় বলে দাবি প্রদেশ নেতৃত্বের। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী-সহ ২২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিতে কয়েকজন কংগ্রেস নেতা-কর্মী আহত হন। কলকাতা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে মনোজকে। পরে কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য এবং বিধায়ক অসিত মিত্র। এদিন আলিপুরে মহকুমাশাসকের অফিসে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে বাধা পেয়েছেন বলে দাবি বিজেপি’র। তাদের অভিযোগ, দফতরের প্রতিটি সিঁড়িতে তৃণমূলের ‘লেঠেল বাহিনী’ দাঁড়িয়েছিল। ফলে ভেতরে কেউ ঢুকতে পারেননি।
মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে শাসকদলের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন ভাঙড় আন্দোলন সংহতি কমিটির সদস্যরা। আন্দোলনকারীরা যাতে নির্বিঘ্নে মনোনয়ন জমা দিতে পারেন, কমিশনারের কাছে সেই দাবি জানান ‘জমি জীবিকা, বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটি’। কমিশন মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে আশ্বস্ত করেছে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন এগোনোর দাবি জানিয়েছে এসইউসি।