পঞ্চায়েত ভোটপর্বের মাঝপথেই হিংসা আটকাতে কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন এক আইনজীবী। সোমবার দুপুরে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আইনজীবী সুপ্রদীপ রায় জানান, তখনও পর্যন্ত সাত জন খুন হয়েছেন। প্রধান বিচারপতিকে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে ফোন করে হিংসা বন্ধ করতে অনুরোধ জানান ওই আইনজীবী। প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, ডিভিশন বেঞ্চের পক্ষে ওই অনুরোধ রাখা সম্ভব নয়। কারণ নির্বাচন শুরু হয়ে গিয়েছে।
প্রধান বিচারপতির বক্তব্য শুনে আইনজীবী আদালতে জানান, তিনি রাজনৈতিক দলের সদস্য নন। হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হিসেবে তাঁর মনে হয়েছে, পঞ্চায়েত ভোট গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে হচ্ছে না। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে হাইকোর্টের উচিত গণতন্ত্রকে বাঁচানো। আইনজীবী আরও জানান, পঞ্চায়েত ভোট শান্তিপূর্ণ করতে নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চই। এ-ও জানায়, ভোট শান্তিপূর্ণ না হলে তার দায় নিতে হবে রাজ্য ও কমিশনকে। সুতরাং সুপ্রদীপবাবুর আর্জি, ডিভিশন বেঞ্চ আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করুক রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের দায়িত্বশীল অফিসার ও নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে।
প্রধান বিচারপতি ওই আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, ‘‘এজলাসে বসে আমাদের পক্ষে টেলিভিশন দেখা সম্ভব নয়। কে খুন হয়েছেন, কোথায় খুন হয়েছেন তার বিস্তারিত কোনও তথ্য রয়েছে কি?’’ আইনজীবী জানান, সংবাদমাধ্যমে তিনি যা দেখেছেন, তা-ই জানিয়েছেন। নিজের মোবাইল ফোনে বেসরকারি টিভি চ্যানেলের খবরও ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতিকে দেখান সুপ্রদীপবাবু। প্রধান বিচারপতি জানান, সংবাদমাধ্যমের কথা নয়, আইনজীবীকেই তথ্য জোগাড় করে আদালতকে জানাতে হবে। প্রয়োজন হলে আইনজীবী নিজের বক্তব্য জানিয়ে একটি আবেদনপত্র জমা দিতে পারেন। ডিভিশন বেঞ্চ তখন বিষয়টি ভেবে দেখবে।