আক্রান্ত কর্মীর পাশে নেই কেন, চর্চা বিজেপি-তে

বিজেপি-র অভিযোগ, শুক্রবার যখন দলীয় নেতারা জেলায় প্রার্থীদের মনোনয়নে বাধা নিয়ে কথা বলতে জেলাশাসকের কাছে যাচ্ছিলেন, তখন জেলাশাসকের দফতর চত্বরে ভূমি অধিগ্রহণ কার্যালয়ের সামনে এক দল দুষ্কৃতী তাঁদের গাড়ি ঘিরে ঘরে ইট ছোড়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৮ ০৪:০২
Share:

প্রতীকী ছবি।

পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাস মোকাবিলায় এবং মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার জন্য তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধী ঐক্যের ডাক দিচ্ছেন বাম এবং বিজেপি— দুই শিবিরেরই নেতৃত্ব। কিন্তু ভোট পর্বে ঘরের ভিতরেই অনৈক্যের কাঁটায় বিদ্ধ হচ্ছে বিজেপি।

Advertisement

গত শুক্রবার বাঁকুড়ায় জেলাশাসকের কাছে যাওয়ার সময় আক্রান্ত হন বিজেপি নেতা শ্যামাপদ মণ্ডল। সেই সময় তাঁকে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে দলেরই দুই রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপে সরব হয়েছেন বিজেপি-র কয়েক জন কর্মী।

বিজেপি-র অভিযোগ, শুক্রবার যখন দলীয় নেতারা জেলায় প্রার্থীদের মনোনয়নে বাধা নিয়ে কথা বলতে জেলাশাসকের কাছে যাচ্ছিলেন, তখন জেলাশাসকের দফতর চত্বরে ভূমি অধিগ্রহণ কার্যালয়ের সামনে এক দল দুষ্কৃতী তাঁদের গাড়ি ঘিরে ঘরে ইট ছোড়ে। শ্যামাপদবাবুকে গাড়ি থেকে টেনে বের করে মাটিতে ফেলে এলোপাথাড়ি কিল, চড়, ঘুষি, লাথি মারা হয়। রাজ্য বিজেপি-র একাংশের অভিযোগ, ওই ঘটনার সময় শ্যামাপদবাবুর সঙ্গেই অন্য একটি গাড়িতে থেকেও দুই সাধারণ সম্পাদক তাঁকে বাঁচাতে যাননি। উল্টে গাড়ি ঘুরিয়ে ঘটনাস্থল ছেড়েছেন। কিছু ক্ষণ মার খাওয়ার পরে কোনও মতে পালিয়ে গাড়িতে উঠেছেন শ্যামাপদবাবু।

Advertisement

তবে ওই ঘটনার পর এক সাধারণ সম্পাদকের হাতে আঘাতের চিহ্ন দেখা যাচ্ছে। তাঁর হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা রয়েছে।

বস্তুত, রাজ্য বিজেপি-র একাংশের মতে, শুধু বাঁকুড়া নয়, প়ঞ্চায়েত ভোট পর্বে দলেরই আক্রান্তের পাশে না দাঁড়ানোর এমন নজির অন্য জেলাতেও আছে। বিজেপি-র একাংশের আক্ষেপ, বীরভূমের নলহাটিতে সিপিএম কর্মী হীরু লেট যখন বোমার আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছেন, তখন তাঁকে বাঁচাতে তৎপর হয়েছেন দলের নেতারা। নলহাটি থেকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁকে আনা হয়। সেখানে ৯ ঘণ্টা বিনা চিকিৎসায় প়ড়ে থাকার পর দলের নেতারাই তাঁকে বিধাননগরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করান।

বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য দলে অনৈক্য বা আক্রান্তের পাশে নেতৃত্বের না দাঁড়ানোর অভিযোগ মানছেন না। তিনি বলেন, ‘‘ফেসবুক বিপ্লবীদের কথায় কিছু এসে যায় না। ওই সাধারণ সম্পাদকরা অবশ্যই শ্যামাপদবাবুর পাশে ছিলেন। তাঁরা ফিরেওছেন একই সঙ্গে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন