শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছেন অমরেন্দ্রকুমার সিংহ।
নিরাপত্তার বন্দোবস্ত নিয়ে রবিবারেও জেলা প্রশাসনগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার অমরেন্দ্রকুমার সিংহ। আজ, সোমবার শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে এই নির্দেশ। বিশেষত বীরভূম ও মুর্শিদাবাদের ক্ষেত্রে বাড়তি নজরদারির জন্যে জেলা প্রশাসনকে ‘কড়া’ বার্তা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, রাজ্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তর থেকেও এদিনই জেলা পুলিশ কর্তাদের বার্তা দেওয়া হয়েছে, অশান্তি যেন কোনওভাবে বরদাস্ত করা না হয়।
বিরোধীদের দাবি, নিরাপত্তার বন্দোবস্ত নিয়ে দায় এড়াচ্ছে কমিশন। তাঁদের বক্তব্য, রাজ্য সরকারের ‘ভরসা’য় তো নির্বাচন হচ্ছে না। কমিশন ভোট করাচ্ছে। তবে কেন নিরাপত্তা নিয়ে সরকারের উপরই দায়িত্ব চাপাচ্ছে কমিশন? তাঁদের অভিযোগ, প্রচার পর্ব শেষ হতেই ‘শীতল সন্ত্রাস’ শুরু করেছে শাসকদল। কিন্তু তা নিয়ে কমিশনের সঙ্গে দেখা করার সুযোগও মিলছে না। এমনকী, ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না। কমিশন সূত্রের দাবি, যেসব জায়গা থেকে অভিযোগ এসেছে, সেখানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে এদিনও জেলা প্রশাসন কর্তাদের কাছে চিঠি দিয়েছেন কমিশনার। কমিশনের এক কর্তার বক্তব্য, ‘‘আইনমাফিক সব করা হয়েছে।’’
মনোনয়ন পর্বে রক্তপাত ঘিরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। সেইসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি ভোটের দিন যাতে না হয়, সে কথাই জেলা পুলিশ কর্তাদের স্মরণ করিয়েছে রাজ্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তর। বেশ কয়েকটি জেলায় পুলিশের শীর্ষকর্তাদের নজর রাখতে বলা হয়েছে। সেখানে কোনও পুলিশ সুপারের ‘ভূমিকা’ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে সরাসরি হস্তক্ষেপও করতে পারেন ওই শীর্ষকর্তারা। পঞ্চায়েত ভোটে এবারই প্রথম সরাসরি জেলাগুলিতে ‘জেনারেল ইলেকশন মনিটরিং সিস্টেম’এর (জেমস) মাধ্যমে নজরদারি করছে কমিশন। সে কারণেই দফতরে এলইডিস্ক্রিন বসানো হয়েছে। রবিবার ঝড়-বৃষ্টিতে ভোটকর্মীদের পৌঁছতে সমস্যা হয়নি বলেই দাবি কমিশনের। তবে সোমবার ভোট চলাকালীন এহেন পরিস্থিতি তৈরি হলে ভোটের লাইন ছত্রভঙ্গ হয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে পুলিশ সেই লাইন ঠিক করবে বলে মত কমিশনের।