Panchayat Poll 2018

সভা থেকে ফেরার পথে মার, হত এক

ঘটনার পরে রাতেই এলাকায় পৌঁছন পুলিশ আধিকারিকেরা। পরে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতে সিপিএমের মহিলা প্রার্থী ফারহাত ফাতেমার স্বামী মহম্মদ মেহবুব আলম-সহ তিন জনকে আটক করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গোয়ালপোখর শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৮ ০৩:১৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

মন্ত্রীর সভা থেকে ফেরার পথে বিরোধীদের সঙ্গে সংঘর্ষ। তাতেই প্রাণ হারালেন তৃণমূল সমর্থক মুজাহির আলম (৭০)। উত্তর দিনাজপুরের পাঞ্জিপাড়ার ইব্রাহিমপুরে শুক্রবার রাতের ঘটনা। এই মৃত্যুর জন্য তৃণমূল দায়ী করেছে সিপিএম ও ফরওয়ার্ড ব্লককে। যদিও বামেরা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। স্থানীয় সিপিএম প্রার্থীর স্বামী-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

ঘটনার পরে রাতেই এলাকায় পৌঁছন পুলিশ আধিকারিকেরা। পরে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতে সিপিএমের মহিলা প্রার্থী ফারহাত ফাতেমার স্বামী মহম্মদ মেহবুব আলম-সহ তিন জনকে আটক করা হয়। শনিবার তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এ দিন বিকেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ‘‘এলাকায় পুলিশ টহল বাড়ানো হয়েছে।’’ এ নিয়ে তৃণমূল-সিপিএমের রাজনৈতিক চাপান-উতোর শুরু হয়েছে।

ঘটনার দিন রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানির নির্বাচনী সভা ছিল ইব্রাহিমপুরে। শাসক দলের দাবি, সভা শেষে যখন তাদের কর্মীরা বাড়ি ফিরছিলেন, তখন রাস্তায় সিপিএম ও ফরওয়ার্ড ব্লকের মিছিল থেকে হামলা চালানো হয়। অভিযোগ, এলাকায় দলের প্রার্থী তথা পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী কমিটির সদস্য সাবির আলমকে মারধর করে সিপিএম-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। আর এক কর্মী মুজাহিরকে লাথি মেরে ফেলে দেওয়া হয়। দু’জনকেই ইসলামপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই মারা যান মুজাহির। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য শহিদুল রহমান বলেন, ‘‘এই মৃত্যুর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। গন্ডগোলের খবর পেয়ে ওই ব্যক্তি পাশের বাড়ি থেকে ছুটে আসছিলেন। তখন কলতলায় পা পিছলে পড়ে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। শাসক দল এটাকে খুন বলে সাজিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করছে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের কর্মীদের নিয়ে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী ফারহাত ফতেমা দলীয় অফিসে আলোচনা করছিলেন। তখন তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই হামলা করে। পুলিশ আমাদের লোকজনকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে গ্রেফতার করেছে।’’

Advertisement

এলাকার তৃণমূল নেতা ও মন্ত্রী গোলাম রব্বানির দাবি, ‘‘রাতে আমার সভা থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরেই আমাদের এক প্রার্থী-সহ অনুগামীদের মারধর করে সিপিএমের লোকেরা। প্রার্থীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর পরে দেখি, এক কর্মীও মাটিতে পড়ে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও বাঁচানো যায়নি। অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে সিপিএম ও কংগ্রেস। এতে উস্কানি দিচ্ছে বিজেপি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন