পুলিশের ভাঁড়ারে মজুত রয়েছে ১০ হাজার টিয়ার গ্যাসের সেল। লাগবে মাথা বাঁচানোর হেলমেট। এ জন্য দরপত্র চাওয়া হচ্ছে। পুলিশ কর্তাদের একাংশের আশা, পঞ্চায়েত ভোটের আগেই হেলমেটও তাঁদের হাতে চলে আসবে।
আদালত বিশেষ কোনও নির্দেশ না দিলে ১৪ মে রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত ভোট হওয়ার কথা। ভোট হবে ৪৭ হাজার বুথে। এক দিনের ভোটে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী ছাড়াও কাজে লাগানো হবে হোমগার্ড, সিভিক ভলান্টিয়ারদের। নবান্নের এক শীর্ষ কর্তা জানান, ভোটের দিন সব সময়ই উত্তেজনা থাকে। তাই নিদেনপক্ষে লাঠি, হেলমেট দিয়ে বাহিনী পাঠানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। এই হেলমেট কেনার সঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের আইনশৃঙ্খলার যোগ নেই। সিদ্ধান্ত আগেই হয়েছিল।
রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎকর পুরকায়স্থ সম্প্রতি পদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে সাপ্তাহিক রিভিউ বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে দুষ্কৃতীদের ধরপাকড়-সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়। কথা হয় পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে। মনোনয়ন থেকে প্রত্যাহার পর্যন্ত মাত্র সাতটি ঘটনা ঘটেছে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন। কিন্তু পুলিশ কর্তাদের একাংশ মনে করছেন, ঘটনা ঘটুক বা না ঘটুক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার প্রস্তুতি সব সময়ই নিয়ে রাখতে হয়। তখনই হেলমেট কেনার প্রসঙ্গ ওঠে। বাজারে বিভিন্ন ধরনের হেলমেট রয়েছে। যার দাম ৫০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে।
পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্য এবং কলকাতা পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী ছাড়াও হোমগার্ড, সিভিক ভলান্টিয়ার, ভিলেজ পুলিশ, বনরক্ষী, আবগারি এবং কারারক্ষীদের ব্যবহার করতে চায় নবান্ন। প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, পুলিশের জন্য হেলমেট থাকলেও অতিরিক্ত অন্যান্য নিরাপত্তা কর্মীর জন্য পর্যাপ্ত সুরক্ষা-উপকরণ নেই। সেই কারণেই তড়িঘড়ি মাথা বাঁচানোর হেলমেট জোগাড়ে ব্যস্ত হয়েছে রাজ্য পুলিশ। পাশাপাশি, লাঠিধারী নিরাপত্তারক্ষীদের জন্য প্রচুর সংখ্যক লাঠি কোথা থেকে পাওয়া যাবে, তা নিয়েও চিন্তিত রাজ্য। এখন বাইরের রাজ্য থেকে ভোটের জন্য লাঠি ধার করার কথাও ভাবছেন রাজ্য পুলিশ কর্তারা। নবান্ন সূত্রের খবর, বৈঠকেই স্থির হয়েছে, ভোটের দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য নব্বই শতাংশ কনস্টেবল এবং সিভিক ভলান্টিয়ারকে কাজে লাগানো হবে। থানা-ফাঁড়ির কাজের জন্য ন্যূনতম পুলিশ কর্মী রাখা হবে। ভিন্ রাজ্যের সঙ্গে এ রাজ্যে ঢোকার প্রবেশ পথে নজরদারির জন্য সিসিটিভি বসানোর কাজ করছে রাজ্য পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। রেল পথে নজরদারি শুরু করেছে জিআরপি। বসানো হচ্ছে সিসিটিভি।