State News

জয়ীদের নামে বিজ্ঞপ্তি কী ভাবে, ধন্দে সরকার

পঞ্চায়েত ভোটের জট এ বার গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ হল, পঞ্চায়েত মামলা না মেটা পর্যন্ত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা প্রার্থীদের নামে  গেজেট বিজ্ঞপ্তি দেওয়া যাবে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০১৮ ০৪:৫৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

গণনা শেষ। আইন অনুযায়ী এ বার পঞ্চায়েতের জয়ী প্রার্থীদের নামে গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার কথা। কিন্তু আপাতত এ ব্যাপরে দোলাচলে পঞ্চায়েত দফতর। ফলে ভোটের ময়দানে জেতার পরও সরকারি খাতায় নাম কবে উঠবে তা নিয়ে কিঞ্চিত বিভ্রান্ত ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের প্রায় ৪৮ হাজার প্রার্থী। বিভ্রান্তি পঞ্চায়েত দফতরেও।

Advertisement

পঞ্চায়েত ভোটের জট এ বার গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ হল, পঞ্চায়েত মামলা না মেটা পর্যন্ত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা প্রার্থীদের নামে গেজেট বিজ্ঞপ্তি দেওয়া যাবে না। আগামী ৩ জুলাই শুনানির জন্য ফের মামলাটি উঠবে সর্বোচ্চ আদালতে।

পঞ্চায়েত দফতরের কর্তাদের মতে, ভোটে জেতা প্রার্থীদের নিয়ে সর্বোচ্চ আদালত স্পষ্ট করে কিছু বলেনি। কিন্তু যেহেতু অন্যান্য বার সামগ্রিকভাবে বিজয়ী প্রার্থীদের নামে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়, এ বার আলাদাভাবে করা যাবে কি না তা স্পষ্ট নয়। সে ক্ষেত্রে এখন ভোটে জয়ীদের নাম সরকারিভাবে ঘোষণা করে দিয়ে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রার্থীদের ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই বলে জানিয়েছেন পঞ্চায়েত কর্তাদের একাংশ।

Advertisement

পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিজ্ঞপ্তি এখনই দেওয়া হবে, না কি সর্বোচ্চ আদালতের রায় দেখে ঠিক করা হবে, সে ব্যাপারে নবান্নের মতামত নেওয়া হচ্ছে। নবান্নের নির্দেশ মেনেই এগনো হবে।’’ পঞ্চায়েতমন্ত্রী অবশ্য জানিয়েছেন, ভোট হয়ে গিয়েছে। এখন নতুন পঞ্চায়েত গঠনের যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।

দফতর সূত্রের খবর, ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের ফলাফল বেরিয়ে গেলেও এখনই কোথাও বোর্ড গঠন হবে না। কারণ, ২০১৩ সালে গঠিত পঞ্চায়েতগুলির মেয়াদ রয়েছে অগষ্ট মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত। ততদিন নতুন জেতা প্রার্থীদের পঞ্চায়েতের কাজে নেমে পড়ার সুযোগ কম। দফতরের এক কর্তা জানান, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়ে গেলেই পঞ্চায়েত সদস্য-সদস্যাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু হবে। শেখানো হবে পঞ্চায়েত আইন, কাজের পদ্ধতি, সদস্য-সদস্যার ভূমিকার কথা। গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যদের জেলা সদরেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। একই ভাবে চলবে পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের সদস্যদের প্রশিক্ষণও। ৪৮ হাজার বিজয়ী সদস্য-সদস্যাকে প্রশিক্ষণ দিতে জুলাই গড়িয়ে যাবে। এক পঞ্চায়েত কর্তার কথায়,‘‘অন্যবার পঞ্চায়েত গঠিত হওয়ার পর প্রশিক্ষণ দেওয়া হত। এ বার পঞ্চায়েত গঠনের আগেই তিন মাস সময় পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের রায়ও এসে যেতে পারে পারে বলে আশা করছি। ফলে পঞ্চায়েত সদস্যরা প্রশিক্ষিত হয়েই কাজে নামতে পারবেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন