পঞ্চায়েতের টি- ২০, নেতাদের রান রেট

এরপরই এগিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার ও ঝাড়গ্রাম। সামগ্রিক ফলের বিচারে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির তদারকিতে ওই জেলাগুলিতে দলের প্রাপ্ত আসন ৬৭%।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০১৮ ০৪:৩১
Share:

উত্তর থেকে দক্ষিণ— রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন জেলার দায়িত্বে আছেন তৃণমূলের মন্ত্রী ও সাংসদের মতো শীর্ষনেতারা। মনোনয়ন পর্ব থেকে ভোট পরিচালনা পর্যন্ত সর্বস্তরে তাঁরাই নিজেদের হাতে থাকা জেলাগুলিতে নিয়ন্ত্রণ করেছেন পঞ্চায়েত ভোট। ফলাফলের নিরিখে কোনও জেলায় বিরোধীদের পর্যুদস্ত করেছে তৃণমূল। কোথাও আবার বিজেপি এবং নির্দল অর্থাৎ বিক্ষুব্ধ তৃণমূলদের উঠে আসা নজর কে়ড়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাত ৯ টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তৃণমূলের ফল যে সব জেলায় বেশি ভাল সেই তালিকায় সবার আগে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দুই বর্ধমান ও হুগলি। পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের নেতৃত্বে ওই জেলাগুলিতে লড়েছে দল। সাফল্য সব মিলিয়ে ৭২%।

এরপরই এগিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার ও ঝাড়গ্রাম। সামগ্রিক ফলের বিচারে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির তদারকিতে ওই জেলাগুলিতে দলের প্রাপ্ত আসন ৬৭%।

Advertisement

আরও পড়ুন: গণনা চলছে, বুথে ঢুকে পড়ে মারা হল ছাপ্পা

পূর্ব মেদিনীপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুরের ভার পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর উপর। পূর্ব মেদিনীপুর তাঁর নিজের জেলা। সেখানে গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোট হওয়া ২ হাজার ৫৬৮ টি আসনের মধ্যে ২ হাজার ২৪ টি দখল করেছে তৃণমূল। এছা়ড়া বাকি তিন জেলাতেও ৬০% আসন জিতে নিয়েছে শাসকদল।

নদিয়ার দায়িত্বে আছেন দলের মহাসচিব ও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেখানে তৃণমূলের দখলে ৫৯ % আসন।

বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার ভার আছে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর। তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে তিনি। গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ের হার ৪৮%। বীরভূম ও হুগলিতে দলের সাফল্য ৭৬%। রাজ্য দলের তরফে এই দুই জেলার দায়িত্বে ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

তবে শুধুমাত্র ‘স্ট্রাইক রেট’-এর হিসাবে সাফল্যের তুল্যমূল্য বিচার করতে নারাজ দলের অনেকেই। তাঁদের একাংশের ব্যাখ্যা, শুভেন্দুর দায়িত্বে ছিল প্রায় ৮ হাজার গ্রাম পঞ্চায়েত আসন। চারটি জেলার তিনটিই ছিল কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি। ফলে সব কটি জেলা দখল করার সাফল্য কম নয়। আবার ফিরহাদ হাকিমের সাফল্য সব থেকে ভাল হলেও তাঁর তত্ত্বাবধানে ছিল মাত্র ২১০০ আসন। তার মধ্যে বীরভূমের কোথাও প্রায় নির্বাচন হয়নি। অভিষেকের ক্ষেত্রে যেমন পুরুলিয়ায় ধাক্কাই খেয়েছে তৃণমূল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন