দিনবৃদ্ধি পরীক্ষা শাসক, বিরোধীর

গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন প্রায় ৪৮হাজার ৬৫০। পঞ্চায়েত সমিতিতে ৯ হাজার ২১৭ এবং জেলা পরিষদে ৮২৫। এখনও পর্যন্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি মনোনয়ন দিয়েছে প্রায় ২৮ হাজার।

Advertisement

রবিশঙ্কর দত্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:১১
Share:

আদালতের নির্দেশে পঞ্চায়েতে মনোনয়নের দিন বেড়েছে। কিন্তু এক দিনের মধ্যে কত মনোনয়ন দেওয়া যাবে, বিরোধীদের ভাবনা এখন তা নিয়েই। অন্য দিকে শাসক দলের চেষ্টা, ‘নির্দল তৃণমূল’-এর মনোনয়ন যাতে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

Advertisement

গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন প্রায় ৪৮হাজার ৬৫০। পঞ্চায়েত সমিতিতে ৯ হাজার ২১৭ এবং জেলা পরিষদে ৮২৫। এখনও পর্যন্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি মনোনয়ন দিয়েছে প্রায় ২৮ হাজার। পঞ্চায়েত সমিতিতে ৫৯৫২ এবং জেলা পরিষদে ৭৬৬। দলের সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর দাবি, মনোনয়নের আদর্শ পরিবেশ থাকলে বিজেপি প্রায় সব আসনেই প্রাথী দিতে পারবে।

সরকারি হিসাবে কংগ্রেস বা সিপিএমের প্রার্থী সংখ্যা আরও কম। গ্রাম পঞ্চায়েতে ৭ হাজার ২৩৯টি মনোনয়ন জমা দিয়েছে কংগ্রেস। পঞ্চায়েত সমিতিতে তাদের প্রার্থী ১ হাজার ৬৪৬। জেলা পরিষদে ৩৭৭ জন। গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিতে বামেদের প্রার্থী যথাক্রমে ১৮ হাজার ও সাড়ে ৪ হাজার। জেলা পরিষদে বাম প্রার্থী ৫৬৩।

Advertisement

নতুন করে মনোনয়নের সুযোগ কতটা কাজে লাগাতে পারবে সিপিএম এবং কংগ্রেস? সিপিএম নেতা রবীন দেব শনিবার বলেন, ‘‘এখনই বলতে পারছি না। তবে পরিবেশের কোনও বদল তো হয়নি।’’ একই কথা প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মনোজ চক্রবর্তীর। তিনি বলেন, ‘‘এক দিনে খুব বেশি করা সম্ভব নয়। তবে এই সুযোগ নিয়ে প্রার্থী বাড়াতে পারলে রাজনৈতিক দিক থেকে স্বস্তিতে থাকবে বিরোধীরা। কিন্তু পরীক্ষা যে কঠিন, তা স্পষ্ট তাঁদের কথায়। একমাত্র জোরালো দাবি বিজেপির। সায়ন্তন বলেন, ‘‘পুলিশ নিরপেক্ষ থাকলে জেলা পরিষদ তো বটেই গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির প্রায় ১০০ শতাংশ আসনে প্রার্থী দেব।’’

এরই পাশাপাশি কিছুটা চাপ তৃণমূলেরও। কারণ শেষ হিসাব অনুযায়ী, গ্রাম পঞ্চায়েতস্তরে ১০ হাজারের বেশি অতিরিক্ত প্রার্থী রয়েছে তৃণমূলের। পঞ্চায়েত সমিতিতে সেই সংখ্যা তিন হাজার এবং জেলা পরিষদে প্রায় ২০০। মনোনয়নের একাট দিন বেড়ে যাওয়ায় এই ধরনের ‘নির্দল’ প্রার্থীর সংখ্যা আরও বাড়ে কি না, এবং শাসক দলের টিকিট না পাওয়াদের কাজে লাগাতে বিরোধীরা কতটা সক্রিয় হয়, সেটা দেখার।

তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য নির্দল বা গোঁজ প্রার্থীকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাঁর কথায়, ‘‘তৃণমূলের ভোট দলের প্রতীকে হয়। নির্দল হিসাবে কেউ থাকতেই পারেন। কিন্তু তাঁর কোনও গুরুত্ব থাকবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন