প্রতীকী ছবি।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের গতিপ্রকৃতি বুঝেই এগোতে চাইছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সে কারণে আপাতত পুনর্নির্বাচন এবং ভোট গণনার দিন ঘোষণা করছে না তারা। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে আগামী শুক্রবার পঞ্চায়েত-মামলা ওঠার কথা। সে দিন ভোটের নিরাপত্তা নিয়ে সবিস্তার জানানোর কথা কমিশন এবং রাজ্যের। আদালতের পরবর্তী নির্দেশ দেখে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কমিশনের এক মুখপাত্র।
এর মধ্যে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করে যাতে প্রতি বুথে সশস্ত্র পুলিশ রাখা যায়, তার চেষ্টা করছে কমিশন। কারণ, নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেই ভোট নিয়ে এগোনোর নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের পর ১১,০১৬টি বুথে কোনও ভোট হচ্ছে না। যেখানে ৫৮,৪৬৭টি বুথে ভোট হওয়ার কথা ছিল, বিনা লড়াইয়ে বহু আসনের ফয়সালা হওয়ায় এখন মাত্র ৪৭,৪৫১টি বুথে ভোট হবে। নবান্নের দাবি, কলকাতা এবং রাজ্য পুলিশ মিলিয়ে তাদের হাতে কমবেশি ৬০ হাজার সশস্ত্র বাহিনী রয়েছে। ফলে প্রতি ভোটকেন্দ্রে একাধিক বন্দুকধারী পুলিশ দিতে এখন আর সমস্যা হবে না বলে রাজ্য পুলিশের এক কর্তা দাবি করেছেন। আদালতে কমিশন ভোট নিরাপত্তা নিয়ে এই তথ্য জানাবে। উপরি হিসাবে চেষ্টা হচ্ছে ভিন রাজ্য থেকেও সশস্ত্র পুলিশ আনার।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এক মুখপাত্র বলেন, ‘‘১১ হাজার বুথে ভোট না হওয়াটা আমাদের কাছে শাপে বর হয়েছে। আশা করছি, এখন আর সমস্যা হবে না।’’ যদিও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি আদালতে কী বলে, সে দিকে তাকিয়ে আছে কমিশন। শুক্রবার আদালতের মনোভাবের উপর ভোটের ভাগ্য নির্ভর করছে বলেও মানছেন কমিশনের কেউ কেউ।
রাজ্যের মোট বুথ
৫৮,৪৬৭
ভোট না হওয়া বুথ
১১,০১৬ (১৮.৮৪%)
রাজ্যের মোট ভোটগ্রহণ
কেন্দ্র (প্রেমিসেস)
৪৩,০৬৭
ভোট না হওয়া
ভোটগ্রহণ কেন্দ্র (প্রেমিসেস)
৮১০৫ (১৮.৮২%)
নবান্ন অবশ্য মনে করছে, মনোনয়ন, প্রার্থীপদ প্রত্যাহার, প্রচার শুরু হয়ে যাওয়ার পর এখন আর ভোট পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। ‘পর্যাপ্ত’ নিরাপত্তা দিয়েই ভোট করানোর পরিকাঠামো রাজ্যের আছে বলে দাবি করেছেন এক কর্তা।