প্রায় ১৪% বুথে সরাসরি নজরদারি করতে চাইছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
বিনা যুদ্ধে ২০ হাজার আসনের ফয়সালা হওয়ার পরে পঞ্চায়েত ভোট হবে প্রায় সাড়ে ৪৭ হাজার বুথে। তার মধ্যে প্রায় ১৪% বুথে সরাসরি নজরদারি করতে চাইছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
চলতি বছরেই পঞ্চায়েত ভোটে প্রথম সিসি ক্যামেরা বসতে চলেছে। তা বসানোর কথা আড়াই থেকে তিন হাজার বুথে। পাশাপাশি, আরও আড়াই থেকে তিন হাজার বুথে ভিডিয়োগ্রাফি করার পরিকল্পনা প্রায় পাকা। সব মিলিয়ে ছ’হাজারের কিছু বেশি বুথে নজরদারি চালানো হবে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। আলাদা করে কোনও জেলাকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হবে না। যে ২০ জেলায় ভোট, তার মধ্যে থেকেই দুই পদ্ধতিতে প্রায় ১৪% বুথে নজরদারি করবে কমিশন। এ বিষয়ে আজ, সোমবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। বুথের চরিত্র বিচার করে তার রিপোর্ট পাঠাতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। ইতিমধ্যে সিংহভাগ জেলার রিপোর্ট কমিশনের কাছে এসেছে। বাকি জেলার রিপোর্ট আজ, সোমবার পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী কমিশন।
প্রশাসনের একাংশের বক্তব্য, বুথের চরিত্র বিচারের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নির্দেশিকা কমিশনের তরফে জেলাগুলিতে পাঠানো হয়নি। ফলে, জেলাগুলি নিজেদের মতো করেই বুথের চরিত্র বিচার করেছে। যদিও প্রশাসনের অন্য অংশের মত, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পরিচালনাধীন ভোটগুলিতে বুথের চরিত্র নির্ধারণে বেশি গুরুত্ব পায় প্রশাসনের কর্তাদের মতামত। এ ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হচ্ছে না। সে কারণেই জেলা প্রশাসনের রিপোর্টের উপরে ভিত্তি করে নজরদারি চালানোর বুথ চিহ্নিত করলে আদতে ‘কাজের কাজ’ কিছু হবে না। তাই এই বাছাইয়ে সরাসরি গুরুত্ব পেতে পারে কমিশনের মত।
কোনও বুথে গোলমালের অভিযোগ উঠলে তা যাচাই করতে সিসি ক্যামেরা বা ভিডিয়োগ্রাফির ছবি কাজে লাগানো হবে।