Panchayat Poll 2018

ভারতীর কাছে হারলেন মমতা!

নাম মাহাত্ম্যেই তৃণমূলের অন্দরে শুরু হয়েছে মশকরা। কারণ, ভারতী বললেই জেলায় এখনও প্রথমেই যে নাম মনে আসে, তিনি হলেন ভারতী ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুলিশ সুপার।

Advertisement

বরুণ দে

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৮ ০৩:৫২
Share:

ভারতী মুর্মু (উপরে), মমতা মুর্মু। নিজস্ব চিত্র

ভারতীর কাছে শেষ পর্যন্ত হেরেই গেলেন মমতা! ব্যবধান মাত্র ১৪ ভোটের। মমতাকে জেতানোর দায়িত্ব যাঁর ছিল সেই মুকুল বলছেন, ‘‘ভোটের ফলে একটু উনিশ-বিশ তো হয়ই।’’ এ বার মেদিনীপুর সদর ব্লকের শিরোমণি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাড়ুয়ার একটি আসনে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন ভারতী মুর্মু। আবার মেদিনীপুর সদর ব্লকের জেলা পরিষদের এক আসনে শাসক দলের প্রার্থী ছিলেন মমতা মুর্মু। বাড়ুয়া মমতার নির্বাচনী এলাকার মধ্যেই পড়ে। মমতা এবং ভারতী দু’জনেই জিতেছেন। তবে বাড়ুয়া গ্রাম সংসদে ভারতীর থেকে পিছিয়ে পড়েছেন মমতা। তৃণমূল সূত্রের খবর, ভারতী পেয়েছেন ৩৭৪টি ভোট, আর মমতার ঝুলিতে ৩৬০টি ভোট। মেদিনীপুর সদর ব্লকের তৃণমূল নেতা মুকুল সামন্ত ছিলেন মমতার নির্বাচনী এজেন্ট। তিনি মানছেন, ‘‘সত্যিই, এ নিয়ে খুবই হাসি-ঠাট্টা হচ্ছে।’’

Advertisement

নাম মাহাত্ম্যেই তৃণমূলের অন্দরে শুরু হয়েছে মশকরা। কারণ, ভারতী বললেই জেলায় এখনও প্রথমেই যে নাম মনে আসে, তিনি হলেন ভারতী ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুলিশ সুপার। শাসক দলের তাব়়ড় নেতাকে ছাপিয়ে ক্ষমতার কেন্দ্রে উঠে এসেছিলেন ভারতী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ক তিনি ডাকতেন ‘মা’ বলে। তবে সে পর্ব এখন অতীত। ক্ষমতা ব্যবহার করে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরে ভারতীকে গ্রেফতারে ‘লুক আউট’ নোটিস জারি করতে চেয়ে একসময় আদালতে যায় সিআইডি। তবে এখন তদন্ত ধীর লয়ে। নির্দিষ্ট সময়ে চার্জশিটও দিতে পারেনি সিআইডি। পুলিশ মহলে জল্পনা, রাজ্য সরকারের সঙ্গে ভারতীর সন্ধি-সমঝোতা হয়ে গিয়েছে!

আরও পড়ুন: গণপ্রতিরোধেই বাম সলতে জ্বাললেন শাহিদ

Advertisement

এই পরিস্থিতিতেই ভারতীর কাছে মমতার হার নিয়ে রসিকতা চলছে শাসক দলের অন্দরে। তাতে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে ভারতী-হীন জেলার জঙ্গলমহলের কিছু আসনে তৃণমূলের তুলনামূলক খারাপ ফল। জেলার এক তৃণমূল নেতার মন্তব্য, “বাডুয়ায় ভারতী হারলে হয়তো ব্যাপারটা এই পর্যায়ে পৌঁছত না। এ ক্ষেত্রে মমতা হেরেছেন। তাই হয়তো হাসি-ঠাট্টা একটু বেশি হচ্ছে!” তবে তৃণমূলেরই কেউ কেউ মনে করাচ্ছেন, এ তো নির্মল আনন্দ। নামে কীই বা যায় আসে!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন