মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি আসনের হার নিয়ে আলোড়ন শুরু হয়েছে নদিয়া জেলা তৃণমূলে। ওই আসনে দলের প্রার্থী সুমনা বিশ্বাসের নাম চূড়ান্ত করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং তারই ফল বিশ্লেষণে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতের কথাও রাজ্য নেতৃত্বের কানে পৌঁছেছে।
জেলা দলের ঠিক করা তালিকায় ওই আসনে নাম ছিল ঝর্না বিশ্বাসের। আগের বোর্ডের প্রধান সুমনাকে বাদ দিয়ে তাঁকে মনোনয়নের সিদ্ধান্তও হয় স্থানীয় স্তরে। কিন্তু নাটকীয় পরিবর্তন হয় নবান্নে। ইরাকে নিহত দুই শ্রমিকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে চান মুখ্যমন্ত্রী। ৭ এপ্রিল তাঁদের সঙ্গেই মমতার কাছে আসেন সুমনা। মমতাকে পরিচয় দিয়ে সুমনা জানান, আগের বোর্ডের প্রধান হওয়া সত্ত্বেও তিনি এ বারের টিকিট পাননি। সুমনাকে প্রার্থী করতে ফোনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নির্দেশ দেন মমতা। সেই আসনে হারের জন্য প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপের কথাও ভাবা হয়েছে। জেলা দলের একাংশ অবশ্য বলছেন, মমতার কাছে আসার আগে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করেন সুমনা। তাই স্থানীয় স্তরে সমস্যা হয়েছিল। দল তাঁর জন্য সম্মানজনক পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে।
সুমনাকে প্রার্থী করা হলেও দলের একাংশের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ ওঠে। প্রাথমিক খোঁজখবরে দলের শীর্ষনেতৃত্ব জানান, দলনেত্রীর নির্দেশে প্রার্থী বদল করতে হলেও নেতাদের একাংশ সুমনার বিরোধিতা করেন। বুধবার সুমনাকে ডাকেন পার্থ। তাঁর সঙ্গেও এই অভিযোগ সম্পর্কে কথা বলেন। সুমনা জানান, জেলা নেতাদের চাপে ভোটের দায়িত্বে থাকা প্রশাসনিক আধিকারিকেরাও উপযুক্ত ভূমিকা নেননি। জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, ‘‘অন্তর্ঘাতের অভিযোগ প্রমাণিত হলে দল ব্যবস্থা নিতে পারে।’’