পান্ডুয়ার ৩ আসনে প্রার্থী নেই শাসকের

পঞ্চায়েত সমিতির একটি এবং ইটাচুনা-খন্যান পঞ্চায়েতের দু’টি আসনে প্রার্থীই দিতে পারেনি তারা।

Advertisement

সুশান্ত সরকার

শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:৪৫
Share:

পঞ্চায়েত ভোটে হুগলির পান্ডুয়াতে চাপে পড়েছে শাসকদল!

Advertisement

পঞ্চায়েত সমিতির একটি এবং ইটাচুনা-খন্যান পঞ্চায়েতের দু’টি আসনে প্রার্থীই দিতে পারেনি তারা। পঞ্চায়েত সমিতির আর একটি আসন নিয়েও দলের দুই প্রার্থীর মধ্যে দড়ি টানাটানি চলছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই দলের এই হাল বলে মনে করছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের একটা বড় অংশই।

পান্ডুয়ার বাসিন্দা, দলের ব্লক স্তরের এক নেতার দাবি, পঞ্চায়েতের যে দু’টি আসনে প্রার্থী দেওয়া যায়নি, সে দু’টি এ বার সংরক্ষিত হয়ে গিয়েছে। সেখানে সময়মতো প্রার্থীর শংসাপত্র মেলেনি। আর পঞ্চায়েত সমিতির আসনটিতে কে প্রার্থী হবেন, সেই নাম ঠিক সময়ে আসেনি।

Advertisement

গত বিধানসভা ভোটের নিরিখে হুগলি জেলায় একমাত্র পান্ডুয়াতেই অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখে বামেরা। গত পঞ্চায়েত ভোটেও এই ব্লকে হেরেছিল তৃণমূল। ১৬টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ১৩টিই বামেরা জিতেছিল। পঞ্চায়েত সমিতিও তাদের ছিল। পরে অনাস্থা এনে তৃণমূল আরও সাতটি পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতি ‘দখল’ করে।

এ বারের ভোটে শাসক শিবিরের যেখানে ঘর গোছানোর কথা ছিল, সেখানে তারা অন্তর্কলহে জেরবার। টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা নেই জেনে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য শেখ আতাউর রহমান মণ্ডল তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে দাঁড়িয়েছেন। গত বার পঞ্চায়েত সমিতির একটি আসনে জিতেছিলেন তৃণমূল নেতা অসিত চট্টোপাধ্যায়। তিনি পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সহ-সভাপতি। এ বার ওই আসনটি সংরক্ষিত। অসিতবাবু বোসপাড়া-তেতেরপাড় এলাকার আসনে মনোনয়ন দাখিল করেছেন। ওই আসনে গতবার জিতেছিলেন তৃণমূলেরই রিতা চৌধুরী। তিনি এ বারেও মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এখন ওই আসনে কে দলীয় প্রতীক পাবেন, তা নিয়ে সরগরম পান্ডুয়া।

অন্দরের খবর, টিকিট পেতে মরিয়া দু’পক্ষই দলীয় নেতৃত্বের কাছে দরবার করছেন। অসিতের দাবি, দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। রিতার খেদ, ‘‘দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, গতবারের জয়ী প্রার্থীদের টিকিট নিশ্চিত। অথচ, এখন শুনছি আমার পরিবর্তে অসিতবাবু টিকিট পেতে পারেন।’’

তৃণমূল সূত্রে খবর, রিতা দলের পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের কাছে গিয়েছিলেন। অরূপ পান্ডুয়ায় দলের টিকিট বণ্টনের দায়িত্বে থাকা অসীমা পাত্রকে একটি চিঠি লিখে দেন। অসীমার বক্তব্য, আজ, সোমবার দলের জেলা বৈঠকে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement