দুই বাংলা। এক বাঙালি।
আর সেই বাঙালির নববর্ষ মানেই উত্তাল আবেগ। জীবনের আনন্দকে উত্সবের আমেজে পুরে ফেলাই নববর্ষের মূল ব্রত। আর সেই ব্রতকে সারা বছর ধরে লালন করার মন্ত্রকে বরণ করার দিনও যেন এই নববর্ষ।
ও পার বাংলা মেতেছে নববর্ষের উন্মাদনায়। এ পার বাংলা মাতবে। দু’পারেরই ব্রত এক। ভাল থাকা। আর বর্ষবরণের দিনে সেই ব্রত নিতে গিয়ে ও পারের বাঙালি শপথ নিয়েছে। অন্ধকার শক্তিকে নিজস্ব প্রত্যয়ে দূরে ঠেকিয়ে রাখার মন্ত্রগুপ্তি নিয়েই যেন ঢাকার রাজপথে কয়েক সহস্র মানুষ এক হয়ে হেঁটেছেন। তার মধ্যেই সুর শোনা গিয়েছে অসাম্প্রদায়িকতার। বর্ষবরণে তাঁরা নিয়েছেন সন্ত্রাসের আঁধার কাটানোর শপথ।
এ পার বাংলাও আজ মাতছে পয়লা বরণে। বর্ষবরণের জৌলুসে, আমেজে মজবে বাঙালি। হালখাতা তো রয়েইছে। রয়েছে পথে নেমে বছরকে আবাহন করার উদ্যোগ। আর তার ভিতর থেকেই উঠে আসবে বছরভরের নানা শপথ। উত্সব ও সম্প্রীতির বার্তায় নতুন বছরের সেই ভাল থাকার সংকল্পকেই জিইয়ে রাখা হবে। লালন করা হবে।
১৪২৪-এর পয়লাটা শুরু হোক একটু অন্য ভাবে। বছরটা ভাল কাটুক।