CNG

করোনার ধাক্কা সামলে বর্ষশেষে গ্যাসের জোগান

বিজিসিএল সূত্রের খবর, করোনার জেরে যন্ত্রাংশের জোগান, নির্মাণকাজ, সবই কিছুটা ধাক্কা খায়। তবে আগামী মার্চের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের পরিকাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

Advertisement

দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২০ ০৬:৩০
Share:

গ্যাস সরবরাহের চিরাচরিত পদ্ধতি বদলে যেতে পারে বহু ঘরেই। ছবি: সংগৃহীত।

এ বছরের গোড়ায় কলকাতায় পরিবহণ ও বাড়িতে রান্নার ক্ষেত্রে পাইপের মাধ্যমে সীমিত ভাবে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবসা শুরুর কথা ছিল গেল ও গ্রেটার ক্যালকাটা গ্যাস সাপ্লাইয়ের যৌথ সংস্থা বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানির (বিজিসিএল)। কিন্তু করোনার প্রভাবে তা পিছিয়ে গিয়েছে। তবে সংস্থা সূত্রের খবর, সব কিছু ঠিকঠাক চললে এ বছরের শেষেই শহরে সীমিত ভাবে কিছু পরিবারে রান্নার গ্যাসের সংযোগ মিলবে। অন্তত একটি সিএনজি স্টেশন চালু হবে।

Advertisement

বিজিসিএল সূত্রের খবর, করোনার জেরে যন্ত্রাংশের জোগান, নির্মাণকাজ, সবই কিছুটা ধাক্কা খায়। তবে আগামী মার্চের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের পরিকাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তার আগে প্রথম ধাপে এ বছরের উৎসবের মরসুমে বা বছরের শেষে কিছু পরিবারে, মূলত আবাসনে পাইপের মাধ্যমে প্রাকৃতিক গ্যাস জোগানের ব্যবসা শুরু হবে। একটি সরকারি বাস ডিপোতেও সিএনজি-র জোগান শুরুর ভাবনা রয়েছে তাদের। তবে উত্তরপ্রদেশ থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস আনতে গেলের মূল পাইপলাইন গড়তে আরও কিছুটা সময় লাগবে। তাই আপাতত শহরে গ্যাসের জোগান দেবে দুর্গাপুরে এসার এনার্জির ‘কোল বেড মিথেন’। গেলের কাছ থেকে সেই গ্যাস নেবে বিজিসিএল।

১৮৫৭ সালে ব্রিটিশ সংস্থা ওরিয়েন্টাল গ্যাস কয়লা থেকে তৈরি হওয়া গ্যাসের জোগান দিত শহরে। স্বাধীনতার পরে বেসরকারি সংস্থার হাত ঘুরে তা অধিগ্রহণ করে রাজ্যের শিল্প দফতর। ডিপিএল থেকে পাওয়া গ্যাস সরবরাহ করত অধিগৃহীত সংস্থাটি। ১৯৭০ সাল নাগাদ সেই পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটতে শুরু করে। ১৯৮৭ সালে সেটিকে সম্পূর্ণ রাজ্য সরকারি সংস্থায় (গ্রেটার ক্যালকাটা গ্যাস সাপ্লাই) পরিণত করা হয়। ডানকুনি কোল কমপ্লেক্স থেকে ফের জোগান নিয়ে শহরে পাইপলাইনের মাধ্যমে পরিষেবা দিত তারা। কিন্তু নানা কারণে তা ধাক্কা খায়।

Advertisement

ইতিমধ্যে ২০০৫ সালে রাজ্যে প্রাকৃতিক গ্যাস আনার জন্য গেইলের সঙ্গে আলোচনার কথা জানান তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। গেলের পাইপলাইনে সেই গ্যাস আনার প্রকল্পের কথা বাম আম‌লে ও পরে তৃণমূল জমানাতেও বার বার শোনা গিয়েছে। উত্তরপ্রদেশ থেকে গেলের মূল পাইপলাইনে যে গ্যাস আসবে, তা বিভিন্ন এলাকায় বণ্টন ব্যবসার জন্য কয়েক বছর আগে বিভিন্ন সংস্থাকে ছাড়পত্র দেয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস নিয়ন্ত্রক পর্ষদ (পিএনজিআরবি)। মোদী সরকারের আমলে সেই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে উর্জা গঙ্গা প্রকল্প। কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় পাইপলাইনে ও সিএনজি স্টেশন গড়ে গ্যাস বিক্রির বরাত পেয়েছিল গ্রেটার ক্যালকাটা। পরে গেলের সঙ্গে তাদের যোথ সংস্থা বিজিসিএল-কে অনুমোদন দিয়েছে পিএনজিআরবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন