ভারতী ঘোষ। ফাইল চিত্র।
ফের সিআইডি-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রাক্তন পুলিশ কর্তা ভারতী ঘোষ। শনিবার এক অডিওবার্তায় তিনি অভিযোগ তুলেছেন, সিআইডি এখন নিজের কাজ ছেড়ে প্রচারে নেমেছে। কেন এই অভিযোগ তিনি করছেন, তার ‘ব্যাখ্যা’ও ওই ভিডিও বার্তায় দিয়েছেন ভারতী।
দাসপুরের চন্দন মাজি নামে এক ব্যক্তির করা অভিযোগের ভিত্তিতে সোনা কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত একটি মামলার তদন্তে নেমেছে সিআইডি। সেই মামলায় ইতিমধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুরের একাধিক পুলিশ অফিসারের নাম জড়িয়েছে। তদন্তে নেমে বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতারও করেছে সিআইডি।
এমনকী, তদন্তকারীরা ওই জেলার প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের একাধিক বাড়ি এবং ব্যাঙ্কের লকারেও পৌঁছে যায়। আটক করা হয় বহু নথি এবং কয়েক কেজি সোনা-সহ মূল্যবান বহু সম্পত্তি। ভারতী সেই তল্লাশির সময়ের আগে থেকেই রাজ্যের বাইরে রয়েছেন। কোথায় রয়েছেন, তা-ও জানা যায়নি। তবে, এই ঘটনাক্রম নিয়ে তিনি বারে বারেই তাঁর মন্তব্য-সহ অডিওবার্তা পাঠিয়েছেন।
সেই অডিওবার্তা
আরও পড়ুন: ‘ভারতী-ঘনিষ্ঠ’ ওসি-র কাছেও টাকা, সোনা
এ দিন সে রকমই এক অডিওবার্তায় ভারতী অভিযোগ তুলেছেন, অভিযোগকারী চন্দন মাজিকে নিয়ে একটি ভিডিওবার্তা নাকি ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, চন্দ অত্যন্ত সজ্জন ব্যক্তি। পাশাপাশি দাবি করা হয়েছে, ভারতী ঘোষ খুব খারাপ। ভারতীর অডিওবার্তার মতোই সেই ভিডিওর সত্যতাও আনন্দবাজার যাচাই করে দেখেনি। ভারতীর দাবি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই ওই ভিডিও বাজারে ছাড়া হয়েছে। কে ওই ভিডিও বানিয়েছেন, তা কেন প্রকাশ্যে আনা হল না তা নিয়েও ক্ষুব্ধ ভারতী। তাঁর আরও অভিযোগ, নুডলস বিক্রেতা চন্দন কী করে কয়েক শো গ্রাম সোনা কিনেছিলেন, তা তদন্ত করে দেখা হয়নি। প্রতারিত হওয়ার পর চন্দন জেলার পুলিশ সুপার বা ওই পুলিশ রেঞ্জের আইজি বা ডিআইজি এমনকী আদালতের দ্বারস্থও কেন তিনি হননি, ভারতী সে প্রশ্নও তুলেছেন এ দিন।
আরও পড়ুন: মানসিক জুলুম রাজুর উপরে, চিঠি ডিজি-কে