এ বার পাল্টা মামলার ছক ভারতী-ঘনিষ্ঠদের

চন্দন ফেব্রুয়ারিতে ভারতী এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে প্রায় ৪০০ গ্রাম সোনা লুটের অভিযোগ দায়ের করেন।

Advertisement

শুভাশিস ঘটক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৮ ০৪:১২
Share:

ভারতী ঘোষ। —ফাইল চিত্র।

পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানা এলাকার বাসিন্দা চন্দন মাঝির অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে রাজ্য পুলিশ। সেই চন্দনের বিরুদ্ধেই এ বার মামলায় যাচ্ছেন ভারতী-ঘনিষ্ঠেরা।

Advertisement

চন্দন ফেব্রুয়ারিতে ভারতী এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে প্রায় ৪০০ গ্রাম সোনা লুটের অভিযোগ দায়ের করেন। ভারতীর আইনজীবীর অভিযোগ, চন্দনের কাছে অত সোনা কোথা থেকে এল, সিআইডি তা খতিয়ে দেখেনি। এক জন সাধারণ চাউমিন বিক্রেতা প্রায় ১০ লক্ষ টাকার সোনা কোথা থেকে পেলেন, যাচাই করা হয়নি তা-ও।

ভারতী-ঘনিষ্ঠেরা জানান, চন্দন ওই সোনা মুম্বইয়ের লোকমান টিলক মার্গ থানা এলাকার একটি গয়নার দোকানের এক কর্মচারীর কাছ থেকে কিনেছিলেন। অভিযোগ, ওই সোনা কেনার কোনও রসিদ চন্দনের কাছে নেই। ভারতীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় এক সাক্ষী চন্দনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনে সম্প্রতি মুম্বইয়ের লোকমান টিলক মার্গ থানায় অভিযোগ দায়ের করে এসেছেন। সিআইডি সূত্রের খবর, ভারতীর দেহরক্ষী সুজিত মণ্ডলই ওই সাক্ষীকে মুম্বই নিয়ে গিয়েছিলেন। সিআইডি-র খাতায় এই সুজিত এখন পলাতক।

Advertisement

ভারতীর আইনজীবীর কথায়, ‘‘তড়িঘড়ি মিথ্যা মামলা সাজিয়ে ভারতী-ঘনিষ্ঠ একাধিক পুলিশ অফিসারকে সোনা লুট ও প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার করেছে সিআইডি। সম্প্রতি ঘাটাল আদালতে পেশ করা চার্জশিটে ভারতীকে মূল চক্রী হিসেবেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। সেই কারণেই লোকমান টিলক মার্গ থানার দ্বারস্থ হয়েছেন ওই সাক্ষী।’’

সিআইডি-কর্তারা মনে করছেন, সিআইডি-র বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করার জন্য সক্রিয় হয়ে উঠেছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন এসপি ভারতী। সুজিত সপ্তাহখানেক আগে লোকমান টিলক থানায় পৌঁছনোর পরে সেই খবর চলে আসে কলকাতায় সিআইডি-র কাছে। সেই রাতেই সিআইডি-র দল মুম্বই পৌঁছয়। কিন্তু তারা থানায় পৌঁছনোর আগেই সুজিত এবং ওই সাক্ষী থানা থেকে চলে যান।

সিআইডির এক কর্তার কথায়, ওই সাক্ষীকে লাগাতার শাসানি দিয়ে, মানসিক চাপ সৃষ্টি করে চন্দনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করানো হয়েছে। ওই বিষয়েও লোকমান টিলক মার্গ থানায় সিআইডি-র তরফে তদন্তকারীদের লিখিত জানানো হয়েছে। সিআইডি-র ওই কর্তার অভিযোগ, মুম্বই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে সমান্তরাল একটি তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করিয়ে সিআইডি-কে চাপে ফেলার চেষ্টা করছেন ভারতী। মামলার কয়েক জন সাক্ষীকে ভয় দেখিয়ে সিআইডি-র বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজানোর চেষ্টাও করা হতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন