ভারতীর স্বামী এম এ ভি রাজু। ফাইল চিত্র।
সকালে নাকি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি গিয়েছিলেন, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা হয়নি। দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টে সিআইডির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ভারতী ঘোষের স্বামী এম এ ভি রাজু।
পুলিশ সূত্রের দাবি, সোমবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ মমতার কালীঘাটের বাড়িতে আসেন রাজু। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান। তাঁকে অপেক্ষা করতে বলা হয়। কিন্তু তিনি রাজি হননি। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যাওয়ার কথা অবশ্য অস্বীকার করেছেন রাজু। যদিও পুলিশের দাবি, ভিজিটর্স বুকে রাজুর নাম রয়েছে, ছবি উঠেছে সিসিটিভি ক্যামেরাতেও। রাজুর পাল্টা বক্তব্য, ‘‘কীসের ভিজিটর্স বুক, কীসের ক্যামেরা জানি না! আমি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি যাইনি।’’
এ দিনই সিআইডির বিরুদ্ধে নেতাজিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন রাজু। তার পর মামলা করেছেন। তাঁর আইনজীবীরা জানান, তাঁদের মক্কেলকে অন্ধকারে রেখে বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে যথেচ্ছ ভাঙচুর করার পাশাপাশি বিগ্রহের সোনার গয়না নিয়ে গিয়েছেন গোয়েন্দারা। ঠাকুরের সিংহাসনে নোংরা ফেলা হয়েছে। হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে ল্যাপটপ, পেনড্রাইভ। আগামী সোমবার মামলার শুনানি হতে পারে।
আরও পড়ুন: ‘সিআইডি অফিসারেরা ফ্ল্যাটে তথ্যপ্রমাণ সাজাচ্ছে’
রাজুর আইনজীবীদের আরও বক্তব্য, এফআইআর-এ রাজুর নাম নেই। আদালত সিআইডি-কে তদন্ত করতেও বলেনি। তা হলে সিআইডি কেন রাজুর ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছে, এই প্রশ্ন তুলে সিবিআই-কে দিয়ে সিআইডির ভূমিকা খতিয়ে দেখানোর আর্জি জানানো হয়েছে।
রাজু এ দিন বলেন, ‘‘আমি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। আমার ও আমার স্ত্রীর আয়ব্যয়ের হিসেব আয়কর দফতরে দেওয়া রয়েছে।’’ তাঁর আরও দাবি, ভারতী দীর্ঘদিন রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষা বাহিনীর কম্যান্ডার ছিলেন। সেখানে যে ভাতা পেতেন, তার পুরোটাই আয়করমুক্ত। তা ছাড়া, ভারতীর পৈতৃক সম্পত্তিও রয়েছে। রাজুর দাবি, ‘‘আমার স্ত্রীর সব সম্পত্তির বিষয়ে রাজ্যকে জানানো হয়েছে। আমার বহু মক্কেলের নানা সম্পত্তির নথি আমার বাড়ি ও অফিসে ছিল। সবই সিআইডি নিয়ে গিয়েছে।’’