ফাইল চিত্র।
১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ তুলে নেওয়া হবে। নবান্নে সর্বদল বৈঠকের পর পাহাড়ে এসে এ কথা জানিয়েছিলেন মোর্চার চিফ কো-অর্ডিনেটর বিনয় তামাঙ্গ। কিন্তু তাঁর সেই ঘোষণাকে কার্যত আমল না দিয়েই পাহাড়ে বন্ধ পালিত হচ্ছে। দোকানপাট বেশির ভাগই বন্ধ। এত দিন বন্ধ চললেও কিছু যান চলাচল করছিল। দোকানপাটও ধীরে ধীরে খুলছিল। কিন্তু শুক্রবার সকাল থেকেই চিত্রটা একেবারে বদলে গিয়েছে। বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। রাস্তাঘাটও শুনশান।
আরও পড়ুন: বেরিয়ে যাচ্ছে দলের রাশ, ক্ষোভে ফুটছেন গুরুঙ্গ
বন্ধ প্রত্যাহারের বিরোধিতা করে এ দিন সকাল থেকেই আসরে নেমে পড়েছে গুরুঙ্গপন্থীরা। শুক্রবার সকালে থেকেই কার্শিয়াঙের বিভিন্ন জায়গায় গুরুঙ্গ সমর্থকরা বিনয়ের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন। গুরুঙ্গ সমর্থকরা সোনাদা, রংবুল এবং কার্শিয়াঙের বিভিন্ন জায়গায় মিছিল করে। দার্জিলিঙেও মিছিল নিয়ে বেরিয়েছেন গুরুঙ্গ সমর্থকরা।
বিমল গুরুঙ্গ আগেই জানিয়েছিলেন বন্ধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে তিনি কোনও ভাবেই মেনে নেবেন না। হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বন্ধ যেমন চলছে তেমনই চলবে। বন্ধ তুলতে গেলে যে ফল ভাল হবে না সে কথাও স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছিলেন। পাশাপাশি, বিনয়কে চিফ কো-অর্ডিনেটরের পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গুরুঙ্গ।
আরও পড়ুন: চুরি বন্ধে বিদ্যুতে বেসরকারি সংস্থা
পাহাড় নিয়ে জটিলতা চলছে অনেক দিন ধরেই। সেই জটিলতা কাটাতেই নবান্নে সর্বদল বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে হাজির ছিলেন মোর্চার চিফ কো-অর্ডিনেটর বিনয় তামাঙ্গ-সহ একটি প্রতিনিধি দল। বৈঠকে স্থির হয়, ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আপাতত বন্ধ তুলে নেবে মোর্চা। কিন্তু বিনয়ের এই সিদ্ধান্তকে ঘিরেই শুরু হয়ে যায় মোর্চার অন্তর্কোন্দল। বিনয়ের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আসরে নামেন গুরুঙ্গ।