দুর্নীতি ঢাকা দিতেই কি গোর্খাল্যান্ড

যার অন্তত ৩০-৪০ শতাংশ টাকা নয়ছয় হয়েছে গুরুঙ্গ, তাঁর ঘনিষ্ঠ কিছু নেতা, বাছাই করা কিছু ঠিকাদার ও ব্যবসায়ীর যোগসাজশে।

Advertisement

কিশোর সাহা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০১৭ ০৫:০৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

দল এবং জিটিএ সংক্রান্ত যাবতীয় সন্দেহজনক প্রশ্ন এড়াতে মরিয়া হয়েই নাকি আলাদা রাজ্যের দাবি আঁকড়ে ধরেছেন বিমল গুরুঙ্গ। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার একাংশই বলছে, জিটিএ গঠনের পরে গত পাঁচ বছরে কয়েকশো কোটি টাকা খরচ হয়েছে। যার অন্তত ৩০-৪০ শতাংশ টাকা নয়ছয় হয়েছে গুরুঙ্গ, তাঁর ঘনিষ্ঠ কিছু নেতা, বাছাই করা কিছু ঠিকাদার ও ব্যবসায়ীর যোগসাজশে।

Advertisement

সরকারি ভাবে অবশ্য মোর্চার তরফে এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ঘটনা হল, ওই প্রশ্ন ঘিরেই মোর্চায় দানা বেঁধেছিল অসন্তোষ। যার জেরে বেশ কয়েক জন নেতা যোগ দেন তৃণমূলে। পাহাড়ের আমজনতাও যে অসন্তুষ্ট, তার ইঙ্গিতও মিলেছিল। মিরিকে তৃণমূলের পুরসভা দখল ও দার্জিলিং-কার্শিয়াং-কালিম্পঙে আসন জয়ে সেই ক্ষোভ স্পষ্ট হয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন: সর্বদলে কে, প্রশ্ন

Advertisement

মোর্চা সূত্রের খবর, দুর্নীতি থেকে নজর ঘোরাতেই গোর্খাল্যান্ড নিয়ে ‘অন্তিম লড়াই’-এর ডাক দিয়েছেন গুরুঙ্গ। প্রয়োজনে আধপেটা খেয়ে আন্দোলন চালানোর ফতোয়াও দিয়েছেন। উপরন্তু, পাহাড়ের কোনও দল যাতে চটজলদি আলোচনার টেবিলে না-যায়, তা-ও নিশ্চিত করতে চায় মোর্চা। মোর্চার এক শীর্ষ নেতা জানান, এই আন্দোলন গতি পেলে পাহাড়বাসী আর জিটিএ-র টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ নিয়ে মাথা ঘামাবে না। তা ছাড়া, দল তো জিটিএ ছেড়েই দিয়েছে। তাঁর আরও দাবি, রাজ্যের সঙ্গে টানা সংঘাত চালাতে পারলে তৃণমূলে যাওয়া মোর্চা নেতারা ঘরে ফিরতে বাধ্য হবেন। নবগঠিত ১৫টি বোর্ডের চেয়ারম্যানকেও চাপে রেখে ইস্তফা দেওয়ানো যাবে।

কিন্তু লাগাতার বন্‌ধের জেরে এর মধ্যেই ভাঁড়ারে টান পড়েছে। বন্‌ধ শিথিল হবে ইদের দিন। তার আগেই সঙ্কট চরমে পৌঁছবে বলে আশঙ্কা। ফলে সাধারণ মানুষ নেতাদের একাংশের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠতে পারে বলে মোর্চার অন্দরেও চিন্তা রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন