Bimal Gurung

সাড়ে ৩ বছর পরে পাহাড়ে ফিরতে চলেছেন বিমল গুরুং

পাহাড়ের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন, ‘হারানো জমি’ উদ্ধারের লক্ষ্যে পাহাড়বাসীর মধ্যে প্রভাব বিস্তারের কাজ শুরু করতে চলেছেন গুরুং এবং তাঁর অনুগামীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২০ ১৯:৫৭
Share:

বিমল গুরুং— ফাইল চিত্র।

আগামী ৬ ডিসেম্বর পাহাড়ে ফিরছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা প্রধান বিমল গুরুং। শনিবার বাগডোগরায় মোর্চার গুরুংপন্থী গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘বিনয় তামাং, অনীত থাপারা পাহাড়কে ধ্বংস করেছে। বিমল ফিরলেই পাহাড়ে উন্নয়ন হবে।’’

Advertisement

শনিবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান রোশন। রবিবার কার্শিয়াং মোটর স্ট্যান্ডে সভা করার কথা তাঁর। রোশন গিরিকে স্বাগত জানাতে শনিবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে ভিড় জমান গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিমল গুরুংপন্থীরা। বিমল গুরুং এবং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার পতাকায় সাজিয়ে তোলা হয় পার্বত্য এলাকা। সূত্রের খবর বিমল এবং রোশন আগামী সপ্তাহেও সিবচুতেও একটি সভা করবেন। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, জল পাহাড়ে মাপতে এসেছেন রোশন। অবস্থা নিয়ন্ত্রণে থাকলেই পাহাড়ে ফিরবেন বিমল। বাগডোগরা বিমানবন্দরে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রোশন বলেন, “আমরা পাহাড়ের মানুষের আবেগের সঙ্গেই রয়েছেন।”

চলতি সপ্তাহের গোড়ায় গুরুংপন্থী মোর্চা নেতৃত্ব জানিয়েছিলেন, কলকাতা থেকে ফিরে বিমল গুরুং পাহাড়ে যাবেন। পাহাড়বাসীর একাংশের আশঙ্কা, প্রায় সাড়ে ৩ বছর পরে তিনি ফিরে এলে বিনয় তামাং-অনীত থাপার নেতৃত্বাধীন মোর্চা সমর্থকদের সঙ্গে গুরুংপন্থীদের সঙ্ঘাত অনিবার্য হয়ে উঠবে।

Advertisement

রোশন শনিবার বলেন, ‘‘বিমল পাহাড়ের জননেতা। ওর প্রতি পাহাড়বাসীর সমর্থন রয়েছে।’’ পাহাড়ের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন, ‘হারানো জমি’ উদ্ধারের লক্ষ্যে পাহাড়বাসীর মধ্যে প্রভাব বিস্তারের কাজ শুরু করতে চলেছেন গুরুং এবং তাঁর অনুগামীরা। এই উদ্দেশ্যেই বিজেপি বিরোধিতার সুর চড়িয়ে রাজ্যের শাসকদলের কাছাকাছি আসার চেষ্টা শুরু করেছেন তাঁরা। গুরুং এবং রোশন কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন। পাশাপাশি, গুরুপন্থী নেতারা ইতিমধ্যেই পাহাড়ে নানা রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু করেছেন।

আরও পড়ুন: প্রয়াত আহমেদ পটেলের স্থানে কংগ্রেস কোষাধ্যক্ষ পবন বনশল

অন্যদিকে, মোর্চার গুরুং-বিরোধী অংশের সভাপতি বিনয় তামাং এবং জিটিএ (গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন)-র চেয়ারম্যান অনীত থাপার অনুগামীরা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, গুরুং তাঁদের কাছে নানা অপরাধমূলক মামলায় অভিযুক্ত পলাতক নেতা। তাই পাহাড়ে তিনি ‘স্বাগত’ নন। অনিত থাপার বক্তব্য, “ভারত গণতান্ত্রিক দেশ। সকলের সব জায়গায় যাওয়ার অধিকার রয়েছে।”

আরও পড়ুন: করোনা আবহে অযোধ্যায় রামের ‘বরযাত্রা’ বাতিল করল ভিএইচপি

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন