রাজ্যের কৌশলে পাল্টা চাপে গুরুঙ্গ

আজ শীর্ষ আদালতে রাজ্য সরকার অভিযোগ তুলল, গুরুঙ্গের বিরুদ্ধে ৫৩টি এফআইআর রয়েছে, ২৪টি মামলা চলছে। পুলিশ অফিসার অমিতাভ মালিকের খুনের মামলায়ও তিনি জড়িত। যা শুনে বিচারপতি অশোক ভূষণের মন্তব্য, আদালতকে এই সব তথ্য জানানো হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:৪৯
Share:

বিমল গুরুঙ্গ।

সুপ্রিম কোর্টে সুরাহা পেয়ে দিল্লি আসার পরিকল্পনা করছিলেন বিমল গুরুঙ্গ। কিন্তু শীর্ষ আদালতের এ দিনের নির্দেশের পরে আপাতত তাঁর প্রকাশ্যে আসা নিয়েই সংশয় তৈরি হয়ে গেল। আজ শীর্ষ আদালতে রাজ্য সরকার অভিযোগ তুলল, গুরুঙ্গের বিরুদ্ধে ৫৩টি এফআইআর রয়েছে, ২৪টি মামলা চলছে। পুলিশ অফিসার অমিতাভ মালিকের খুনের মামলায়ও তিনি জড়িত। যা শুনে বিচারপতি অশোক ভূষণের মন্তব্য, আদালতকে এই সব তথ্য জানানো হয়নি।

Advertisement

এর জবাব দিতে গুরুঙ্গকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যের আর্জি মেনে তাঁর আইনজীবীকে মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিতে হয়েছে, তত দিন পর্যন্ত গুরুঙ্গ বিক্ষোভ, প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নিতে পারবেন না। প্রকাশ্যে বক্তৃতাও করতে পারবেন না। যা কার্যত ‘হাউস অ্যারেস্ট’ বা গৃহবন্দিরই সামিল বলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের ব্যাখ্যা।

আরও পড়ুন: মনোজের খুনি ধরতে অভিযান ভিন্‌ রাজ্যে

Advertisement

গুরুঙ্গ-পাকড়াও অভিযানে গিয়ে নিহত হন অমিতাভ মালিক। আজ তাঁর মা গঙ্গাদেবীর হয়ে সুপ্রিম কোর্টে দাঁড়িয়ে দুঁদে আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা বলেন, ‘‘তাঁরা (অমিতাভের পরিবার) নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন।’’ মঙ্গলবার সেই আর্জিও শুনবেন বিচারপতিরা। এর আগে গুরুঙ্গের হয়ে সওয়াল করেন দেশের প্রথম সারির আইনজীবী হরিশ সালভে। এ দিন রাজ্যের হয়ে কোর্টে দাঁড়ান আর এক নামী কৌঁসুলি অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। আগের দিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, গুরুঙ্গের বিরুদ্ধে কোনও ‘দমনমূলক পদক্ষেপ’ করা যাবে না। পরে গুরুঙ্গ দাবি করেন, তাঁকে আর গ্রেফতার করতে পারবে না রাজ্য। এ দিন গুরুঙ্গের প্রেস বিবৃতি পড়ে শুনিয়ে অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, এখানে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের অপব্যাখ্যা হচ্ছে। নিজের বিরুদ্ধে এফআইআর-কে মুকুটের পালকের মতো কাজে লাগাচ্ছেন গুরুঙ্গ। গুরুঙ্গের বিরুদ্ধে এফআইআর, মামলা, বাড়ি থেকে বিপুল অস্ত্র উদ্ধারের তালিকা দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের কথা না শুনেই সুপ্রিম কোর্ট ‘দমনমূলক পদক্ষেপ’ আটকাতে নির্দেশ দিয়েছে। তা ফেরত বা বদল প্রয়োজন।’’ যা শুনেই বিচারপতি ভূষণ বলেন, সোমবার তাঁরা এই সব জানতেন না। গুরুঙ্গের আইনজীবী পি এস পাটওয়ালিয়ার পাল্টা অভিযোগ, এ সবই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিচারপতি সিক্রি বলেন, রাজ্যের অভিযোগ যথেষ্ট গুরুতর। হলফনামা দিয়ে এর জবাব দিতে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন