অনীত-বিনয়ের জনসভায় যেতে নিষেধ বিমলের

ওই সভার পরেই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার পদ থেকে বিমল গুরুঙ্গকে সরানো হতে পারে বলেও দলের অন্দরে কানাঘুষো শুরু হয়ে গিয়েছে। তা আঁচ করেই গোপন ডেরা থেকে অডিও-বার্তা পাঠিয়ে পাহাড়বাসীকে ওই জনসভায় যেতে নিষেধ করলেন ‘ফেরার’ মোর্চা সভাপতি গুরুঙ্গ। বৃহস্পতিবার দুপুরে রোশন গিরি একটি হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপে ওই অডিও-বার্তা পোস্ট করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দার্জিলিং ও শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:১৭
Share:

সতর্ক: বিমল গুরুঙ্গ

বিনয় তামাঙ্গ-অনীত থাপাদের প্রথম কেন্দ্রীয় সমাবেশ ঘিরে দার্জিলিং পাহাড় জুড়ে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। ওই সভার পরেই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার পদ থেকে বিমল গুরুঙ্গকে সরানো হতে পারে বলেও দলের অন্দরে কানাঘুষো শুরু হয়ে গিয়েছে। তা আঁচ করেই গোপন ডেরা থেকে অডিও-বার্তা পাঠিয়ে পাহাড়বাসীকে ওই জনসভায় যেতে নিষেধ করলেন ‘ফেরার’ মোর্চা সভাপতি গুরুঙ্গ। বৃহস্পতিবার দুপুরে রোশন গিরি একটি হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপে ওই অডিও-বার্তা পোস্ট করেন।

Advertisement

তাতে গুরুঙ্গের বক্তব্য, ‘‘বিনয়-অনীত আন্দোলনের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। জনসভা সফল করতে ভয় দেখাচ্ছেন। জবরদস্তি চাঁদা তুলছেন।’’ তাই তাঁর অনুরোধ, ‘‘ওই সভায় যাবেন না।’’ ২১ নভেম্বর যে সর্বদল বৈঠক রয়েছে, তার কথা মাথায় রেখেই যে তিনি ওই বার্তা দিচ্ছেন, তা-ও মনে করিয়ে দিয়েছেন। ওই সভার আগেই তাঁকে মোর্চার সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে সে জায়গায় বিনয় চলে এলে পরিস্থিতি যে অনেকটাই হাতের বাইরে চলে যাবে, তা বুঝতে পেরেই গুরুঙ্গ এই বার্তা দিয়েছেন বলে পাহাড়ের দলগুলি মনে করছে। গুরুঙ্গও বলেছেন, ‘‘২১ নভেম্বর সর্বদল বৈঠকের আগে নিজেদের জোর দেখাতেই যে বিনয়-অনীত ওই
সভা করছেন, সেটা সকলের মাথায় রাখা উচিত।’’

সেই সঙ্গে ১৫ মিনিটের বার্তায় গুরুঙ্গ বারেবারেই ১০৪ দিনের বন্‌ধের দায় বিনয়ের কাঁধে চাপিয়েছেন। চা-সিঙ্কোনা শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি কেন এখনও দেওয়া হয়নি, সেই প্রশ্ন তুলেছেন। একদা ছায়াসঙ্গী বিনয় ও অনীতকে দু’মুখো সাপের সঙ্গেও তুলনা করেন গুরুঙ্গ।

Advertisement

বিনয়-অনীত শিবির অবশ্য বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। দল সূত্রের খবর, রবিবারের সমাবেশের জন্য চকবাজারের মোটরস্ট্যান্ডে প্রস্তুতি চলছে। ওই সভায় পাহাড়ের সব জায়গা থেকে যাতে বাসিন্দাদের ভিড় উপচে পড়ে, তা নিশ্চিত করতে বিনয়-অনীত দু’জনেই দিনরাত ছুটছেন। ছোট-বড় ব্যবসায়ী, চা বাগান শ্রমিক, হকার, সরকারি কর্মচারি, শিক্ষক, গাড়ির চালক সমস্ত পেশার বাসিন্দাদের সামিল করতে নাওয়াখাওয়া ভুলেছেন দুই নেতা। বিনয় বলেন, ‘‘উন্নয়ন বন্ধ করে হিংসার রাস্তায় যেতে রাজি নন পাহাড়বাসী। সেটাই জনসভায় স্পষ্ট হয়ে যাবে।’’ বিনয় জানান, চা-সিঙ্কোনা শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি দেওয়ার বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানানো হয়েছে এবং কাজও এগোচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন