বিনয় তামাঙ্গ। ফাইল ছবি।
মিরিকে এসে সেখানকার তৃণমূল পরিচালিত পুরসভাকে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন জিটিএ-র কেয়ারটেকার বোর্ডের চেয়ারম্যান বিনয় তামাঙ্গ। বলেন, রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকলেও পাহাড়ের উন্নয়নের প্রশ্নে দলের উপরে উঠে একযোগে কাজ করতে হবে।
মঙ্গলবার মিরিকে আসেন জিটিএ-র ভাইস চেয়ারম্যান অনীত থাপা। এ দিন তাঁকে সঙ্গে নিয়েই আসেন বিনয়। এলাকার তৃণমূল নেতা তথা পুরসভার চেয়ারম্যান লালবাহাদুর রাইয়ের সঙ্গে বৈঠকও করেন তাঁরা। পরে বিনয় বলেন, ‘‘এটা রাজনৈতিক সফর নয়। জিটিএ-র প্রশাসনিক সফর। আমরা পাহাড়ের সার্বিক উন্নয়ন চাই। সেখানে রাজনীতি নেই। চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, ধাপে ধাপে প্রকল্প ভিত্তিক কাজ হবে।’’
গত মে মাসে পুরভোটে তৃণমূলের সঙ্গে মোর্চার জোর লড়াই হয়। ভোটের আগে তৃণমূল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ক্ষমতায় এলে মিরিকবাসীদের জমির পাট্টা দেওয়া হবে। জয়ের পরে মিরিকে এসে সভা করে সেই কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত জানান মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তার কিছু দিনের মধ্যে পাহাড় অচল হয়ে পড়ে। তখন কট্টরপন্থীদের চাপে অনেকেই গুরুঙ্গকে সমর্থন করেন, দাবি তৃণমূলের। গুরুঙ্গ আত্মগোপন করতেই পরিস্থিতি বদলায়। মিরিকের যুব মোর্চা এবং নারী মোর্চার বহু নেতানেত্রী বিনয় তামাঙ্গকে সমর্থন করেন। গুরুঙ্গপন্থীরাও এখন চুপচাপ ।
বিনয় জানান, মিরিক লেক পর্যটকদের বড় আকর্ষণ। লেকের সংস্কার করতে হবে। পুর চেয়ারম্যান জানান, রাজনীতির ময়দান অন্য জায়গায়। উন্নয়ন আলাদা। আমরা একযোগে কাজ করব। মিরিক যাতে শান্ত থাকে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে, তা দেখব। এ দিনই কালিম্পঙের গৈরিবাস থেকে বরদান মোক্তান নামের স্থানীয় মোর্চা নেতা ধরা পড়েন। তার বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তিতে আগুন ধরানো, ভাঙচুর ও গোলমালের নানা অভিযোগ আছে।