Shantiniketan

পাঁচিলে সমস্যা কী, মন বুঝতে সাইকেলে এসপি

প্রশাসনের এমন উদ্যোগের প্রশংসা করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০২০ ০১:৪৯
Share:

সাইকেলে আশ্রমিকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পাঁচিল নিয়ে তাঁদের সমস্যার কথা শুনলেন বীরভূমের পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ। রবিবার। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী

পরনে হলুদ পাঞ্জাবি, মুখে বাটিকের মাস্ক। বাহন সাইকেল। বিশ্বভারতী পাঁচিল তোলার ফলে কী সমস্যা হচ্ছে, শান্তিনিকেতনের আশ্রমিকদের বাড়ি ঘুরে বীরভূমের পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহের নেতৃত্বে সেই খোঁজ নিল পুলিশ কর্তার দল।

Advertisement

প্রথমেই তাঁরা পূর্বপল্লির প্রবীণ আশ্রমিক উর্মিলা গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান। উর্মিলাদেবী অভিযোগ করেন, “বিশ্বভারতী পাঁচিল তুলে দেওয়ার ফলে হাসপাতাল যাওয়ার এক মিনিটের রাস্তা ১০ মিনিটে গিয়ে ঠেকেছে।’’ সেখান থেকে দলটি পৌঁছয় আর এক প্রবীণ আশ্রমিক সুজিত চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে। সুজিতবাবুর অভিযোগ, “এলাকা ঘিরতে ঘিরতে এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে, প্রয়োজনে বাড়ির সামনে অ্যাম্বুল্যান্স বা দমকলের গাড়িও এসে পৌঁছতে পারবে না।’’

পৌষমেলার মাঠ পাঁচিলে ঘেরা নিয়ে দিন কয়েক আগেই তেতে উঠেছিল শান্তিনিকেতন। তার ঠিক আগেই রতনপল্লিতে একটি জায়গা পাঁচিলে ঘেরার কাজ চলছিল। অভিযোগ, সেই পাঁচিলের পিছনে ঢাকা পড়ে গিয়েছে প্রবীণ আশ্রমিক নীলা ভট্টাচার্যের বাড়ি। জেলা পুলিশ সুপার সেখানে পৌঁছলে সমস্যার কথা তোলেন নীলাদেবী। পুলিশ সুপার বলেন, “রতনপল্লির এই পাঁচিল অত্যন্ত দৃষ্টিকটু ও অপ্রয়োজনীয় বলেই মনে হচ্ছে।” পাঁচিলের কাজ ফের শুরু হলে পুলিশকে তখনই তা জানানোর অনুরোধ করেন। রতনপল্লি থেকে যান শান্তিনিকেতন মূল ক্যাম্পাসের অন্তর্গত সঙ্গীতভবন লাগোয়া শান্তিদেব ঘোষের বাড়ির সামনে। সেখানে উপস্থিত আশ্রমিক কল্পিকা মুখোপাধ্যায় বলেন, “বিশ্বভারতী নিজের সীমানা ঘিরতেই পারে। কিন্তু, তা নান্দনিক ও রাবীন্দ্রিক আদর্শ মেনে হওয়াই বাঞ্চনীয়।” এর পরে দলটি পৌঁছয় পাঠভবনের প্রাক্তন অধ্যক্ষ তথা ঠাকুর পরিবারের অন্যতম সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুরের বাড়ি। সুপ্রিয়বাবুও পাঁচিল ঘেরার বিরোধিতা করেন। প্রশাসনের এমন উদ্যোগের প্রশংসাও করেন। আর এক প্রবীণ আশ্রমিক শ্যামল চন্দের সঙ্গে দেখা করে এ দিনের কর্মসূচি শেষ করেন সুপার।

Advertisement

সবার সঙ্গে কথা বলে পুলিশ সুপারের মনে হয়েছে, “সাধারণ মানুষ পাঁচিল চান না।” একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “১৯ তারিখের প্রশাসনিক বৈঠকে আশ্রমিকরা নানা সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন। তার ভিত্তিতেই এই কর্মসূচি। সব তথ্য যথাস্থানে জানাব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন