বিশ্ববঙ্গ সম্মেলনের উদ্বোধন করছেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। রয়েছেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাংলাদেশের শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এবং অন্যান্য অতিথিরা। ছবি: অনির্বাণ সাহা।
ভাঙড়ের জমি বিতর্কের মধ্যে কপালে ভাঁজ নিয়েই শুক্রবার মিলন মেলা প্রাঙ্গণে শুরু হল বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। প্রদীপ জ্বালিয়ে দু’দিনের এই বাণিজ্য সম্মেলনের উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। রাষ্ট্রপতি এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও মঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন এ রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী এবং প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
এ দিন বাংলার ভূয়সী প্রশংসা শোনা যায় রাষ্ট্রপতির মুখে। তিনি জানান, বাংলায় এক সময়ে শিল্পে ভাটা এসেছিল। কিন্তু অতীতের বোঝা সরিয়ে এগিয়ে গিয়েছে বাংলা। বিনিয়োগের উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে। তাঁর বিশ্বাস, সোনালি সু’দিন ফিরে আসবে বাংলায়। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় উপস্থিত সমস্ত শিল্পপতিদের বাংলায় বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘‘বাংলায় আসুন, বিনিয়োগ করুন। সবরকম সাহায্যের জন্য প্রস্তুত মুখ্যমন্ত্রী।’’ এর পর সম্মেলনে উপস্থিত সমস্ত শিল্পপতিদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি কী বললেন দেখে নিন:
• বাংলাই হোক আগামী দিনের গন্তব্য। সুমুদ্র, পাহাড়, জঙ্গল কী নেই এখানে? যে কোনও সমস্যা হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সমাধান করা হবে।
• বাংলায় এখন একটাও শ্রমদিবস নষ্ট হয় না।
• এ রাজ্যে সস্তায় দক্ষ শ্রমিক পাবেন। মেধাবী এ পরিশ্রমী শ্রমিক পাবেন।
• এ রাজ্যে বিনিয়োগ করলে উত্তর-পূর্ব ভারত পর্যন্ত সুফল পাবেন। পাশাপাশি নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশেও বিনিয়োগ করতে পারবেন। কারণ এদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই ভাল।
• ল্যান্ড মিউটেশন এবং কনভারসেশন-এর জন্য পলিসি রয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি কাজ হয়ে যাবে।
• ল্যান্ড ব্যাঙ্কে ৬০০০ একর জমি রয়েছে। জমি নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না।
• বিনিয়োগকারীদের সবরকম সাহায্য করা হবে।
• নোট বাতিলের জেরে শিল্পক্ষেত্র ক্ষতিগ্রস্ত। কৃষক, অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকরা ক্ষতিগ্রস্ত।
• আরও নতুন হাসপাতাল, পলিটেকনিক কলেজ তৈরি হচ্ছে। গরীবদের জন্য প্রকল্প রয়েছে।
• রাজ্যে ৪১টি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল রয়েছে।
• শিশু মৃত্যুর হার ৬% কমেছে।
• হাসপাতালে প্রসবের হার বেড়েছে। ২ টাকা কিলো দরে চাল দেওয়া হচ্ছে। বিনামূল্যে সাইকেল দেওয়া হচ্ছে। মেয়েদের জন্য কন্যাশ্রী প্রকল্প রয়েছে।
• সামাজিক ক্ষেত্রে ভাল কাজ হচ্ছে।
• এ রাজ্যে কর আদায়ের হার উল্লেখযোগ্য। রাজস্ব আদায় হয়েছে দ্বিগুণ।
• এ রাজ্যে সাতগুণ বেড়েছে রাজ্যের পুঁজি ব্যয়।
• বিশ্ববঙ্গ সম্মেলনে ৪০০০ শিল্পপতি উপস্থিত হয়েছেন। এ রাজ্যের ইতিহাসে যা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
• বিশ্ববঙ্গ সম্মেলনের মঞ্চ চাঁদের হাট।
• উপস্থিত সবাইকে স্বাগত। রাষ্ট্রপতির উপস্থিতি আমাদের দিশা দেখাবে।
আরও পড়ুন: উপহার দরকার নেই, ভারত এনএসজির যোগ্য: বেজিংকে পাল্টা দিল্লির