—ফাইল চিত্র।
পাহাড়ে পৃথক রাজ্যের প্রশ্নে এক দিনের মধ্যেই সুর নরম করলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি শনিবার বলেছিলেন, আলাদা রাজ্যে নয়, তার নামে তাঁদের আপত্তি আছে। রবিবার তিনি জানালেন, দার্জিলিং পাহাড় নিয়ে আলাদা রাজ্য এবং নাম— দুটোতেই আপত্তি আছে তাঁদের। কোচবিহারের শীতলখুচি ও মাথাভাঙায় রবিবার কর্মিসভা করে তিনি বলেন, “আমরা অবশ্যই ছোট রাজ্যের পক্ষে আছি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, একটি গ্রাম বা পুরসভা একটি রাজ্য হবে। কমপক্ষে তার আর্থিক সঙ্গতি থাকতে হবে। আর কোনও ভাষা, জাতিগোষ্ঠীর নামে রাজ্যকে আমরা সমর্থন করি না। গোর্খাল্যান্ড সমর্থন করছি না।” বিজেপি-র কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ অবশ্য এত দিন এই কথাই বলছিলেন।
তবে পাহাড়ে পৃথক রাজ্যের দাবি জিইয়ে রাখার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই কাঠগড়ায় তুলেছেন দিলীপবাবু। তাঁর প্রশ্ন, জিটিএ গঠিত হলেও সেখানে গোর্খাল্যান্ডের কথা বাদ দেওয়া হয়নি কেন? দিলীপবাবুর কথায়, “ছোট রাজ্যের পক্ষে কে আছে, বিভাজনের রাজনীতি কে করছে, তা কাজ দেখলেই বোঝা যায়। মুখ্যমন্ত্রী একটি ছোট বিধানসভাকে জেলা করেছেন। উনি বিভাজন করছেন। উনি ছোট ছোট গোর্খাল্যান্ডের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।”
আরও পড়ুন: জর্জ বেকারকে মারে অভিযুক্ত অধরা
তৃণমূল সমর্থকরা এ দিন কোচবিহারে শীতলখুচির রথেরডাঙা এলাকায় দিলীপবাবুর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “বাংলাকে ভাগ করার চক্রান্ত করছে বিজেপি। তারা উস্কানি দিয়ে অশান্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছে। মানুষ তা মানবে না।”