উত্তর জুড়ে বিক্ষোভ বিজেপির

এ দিন দুপুর দু’টো থেকে রায়গঞ্জ থানার সামনে বিক্ষোভ শুরু হয়। আন্দোলনকারীরা যাতে থানায় ঢুকতে না পারেন, তার জন্য থানা চত্বরে ঢোকার দুটি গেট ব্যারিকেড ও লোহার পাইপ দিয়ে আটকে দেয় পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:০১
Share:

শিলিগুড়ি থানার সামনে বিজেপির বিক্ষোভ। শনিবার। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

শিলিগুড়ি থেকে বালুরঘাট, বিস্তীর্ণ এলাকায় থানার গেটে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি। তবে কোথাওই তেমন বড় গোলমাল হয়নি।

Advertisement

কলকাতায় দলের কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছে অভিযোগ তুলে এ দিন থানা ঘেরাওয়ের ডাক ছিল বিজেপি। উত্তরবঙ্গের থানাগুলিতেও আগে থেকে মোতায়েন করা ছিল অতিরিক্ত বাহিনী। থানার ভিতরে ঢুকতে না পারলেও গেটের সামনে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়ে ফিরতে হয়েছে বিজেপি সমর্থকরদের। ধস্তাধস্তি অথবা অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই।

এ দিন দুপুর দু’টো থেকে রায়গঞ্জ থানার সামনে বিক্ষোভ শুরু হয়। আন্দোলনকারীরা যাতে থানায় ঢুকতে না পারেন, তার জন্য থানা চত্বরে ঢোকার দুটি গেট ব্যারিকেড ও লোহার পাইপ দিয়ে আটকে দেয় পুলিশ। গোলমালের আশঙ্কায় থানাচত্বরে বিরাট পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। থানা চত্বরে ঢুকতে গিয়ে বাধা পেয়ে বিজেপির নেতা ও কর্মীরা থানার সামনের রাস্তায় অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েন। ফলে প্রায় এক ঘণ্টা ওই রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।

Advertisement

শিলিগুড়িতে বেলা বারোটা থেকে থানায় অভিযানের কথা থাকলেও কর্মসূচি শুরু হয় ঘণ্টাখানেক পরে। বিজেপির তরফে দাবি করা হয়, কর্মী সমর্থকরা আসতে সময় লেগেছে। এ দিন বেশ কিছু কর্মী সমর্থক নিয়ে শিলিগুড়ির থানার দিকে এগিয়ে যান দলের জেলা সভাপতি প্রবীণ অগ্রবাল। থানার একটি গেট আগে থেকই বন্ধ ছিল। অন্য গেটের সামনে ছিল পুলিশি ব্যারিকেড। শিলিগুড়িতেও থানার গেটের সামনে বসে বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখান কর্মী-সমর্থকরা। থানার সামনে রাস্তায় বসে পড়েন কাউন্সিলর খুশবু মিত্তলও।

কোচবিহারে দলের জেলা পার্টি অফিস থেকে বের হয় বিজেপির মিছিল। পুলিশ লাইনের সামনে দিয়ে বিজেপি কর্মীরা মিছিল করে থানায় যায়। ওই মিছিল নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। অশান্তির আশঙ্কায় রাস্তার দু’পাশের বেশ কিছু দোকানের ঝাপ নেমে যায়। চারদিকে পুলিশ দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়। থানার সামনে প্রায় আধ ঘণ্টা বিক্ষোভ চলার পরে তাঁরা ফিরে যায়। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “রাজ্য জুড়ে অরাজকতা চলছে। শাসক দল পুলিশের উপস্থিতিতে বিজেপির শান্তিপূর্ণ বাইক মিছিলের উপরে হামলা চালায়। তার প্রতিবাদে আমাদের আন্দোলন চলবে।”

বিক্ষোভ হয়েছে আলিপুরদুয়ার, ফালাকাটা, কুমারগ্রাম থানাতেও। বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা কমিটির অভিযোগ, বিরোধীরা কোনও মিটিং মিছিল করতে গেলেই পুলিশের বাধা ও হুমকি আসছে। বাড়ি বাড়ি বুথ কমিটির মিটিংয়েও বাধা দিচ্ছে পুলিশ। শনিবারে খোয়ারডাঙা এলাকায় একটি বুথ কমিটির মিটিংয়ে পুলিশ গিয়ে অনুমতি দেখতে চায়। আলিপুরদুয়ারের জেলা পুলিশ সুপার আভারু রবীন্দ্রনাথ বূলেন, ‘‘পুলিশ আইন মেনেই কাজ করছে। বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচিতে কোন গ্রেফতারি নেই।’’ প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বালুরঘাট সদর থানার মূল প্রবেশপথ আটকে শতাধিক বিজেপি কর্মী।

বিজেপির আইন অমান্য কর্মসূচিকে ঘিরে এ দিন দুপুরে কিছুটা উত্তেজনা ছড়ায় ইংরেজবাজার থানা চত্বরে। বেলা দুটো নাগাদ একদল বিজেপি নেতা-কর্মী মিছিল নিয়ে ইংরেজবাজার থানার ভেতরে ঢুকতে চায়। সেসময় পুলিশ গেটের কাছেই তাঁদের পথ আটকে দেয়। দু’পক্ষের মধ্যে সেসময় বচসা চলে এবং বিজেপি নেতা-কর্মীরা সেখানে বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। পরে দলের ৬ জন প্রতিনিধি গিয়ে থানার আইসির কাছে তাঁদের স্মারকলিপি তুলে দিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন