BJP

BJP leader arrested: চাকরির নামে প্রতারণা, বিজেপি নেতা গ্রেফতার

শুক্রবার রাতে হাওড়া শহর থেকে সুমিতরঞ্জন কাঁড়ার নামে ওই বিজেপি নেতাকে পুলিশ ধরে। তাঁর বাড়ি উদয়নারায়ণপুরের সোনাতলায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

উদয়নারায়ণপুর শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২২ ০৬:১২
Share:

গ্রেফতার সুমিতরঞ্জন কাঁড়ার। নিজস্ব চিত্র

স্কুল-সহ বিভিন্ন জায়গায় চাকরি করে দেওয়ার নামে টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রামীণ হাওড়ার এক বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

Advertisement

শুক্রবার রাতে হাওড়া শহর থেকে সুমিতরঞ্জন কাঁড়ার নামে ওই বিজেপি নেতাকে পুলিশ ধরে। তাঁর বাড়ি উদয়নারায়ণপুরের সোনাতলায়। গত বছর বিধানসভা নির্বাচনে তিনি উদয়নারায়ণপুর কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে গিয়েছিলেন। ধৃতকে শনিবার উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক তাঁকে দু’দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ওই বিজেপি নেতার কাছে টাকা ফেরতের দাবিতে পোস্টার নিয়ে এ দিন বেশ কিছু যুবক উদয়নারায়ণপুর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। সিআইডি তদন্তেরও দাবি তোলেন।

পুলিশ জানায়, কিছু মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতেই সুমিতকে গ্রেফতার করা হয়। প্রসঙ্গত, মাসখানেক আগেও সোনাতলায় ওই বিজেপি নেতার বাড়ির সামনে টাকা ফেরত চেয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন কিছু যুবক। আমতা-উদয়নারায়ণপুর রোডও অবরোধ করা হয়েছিল। সোনাতলায় প্রাথমিক শিক্ষকদের বেসিক ট্রেনিং কলেজ আছে সুমিতের।

Advertisement

এ দিন বিক্ষোভকারীদের মধ্যে চন্দ্রশেখর বাগ নামে এক যুবক বলেন, ‘‘সুমিতবাবু ২০১৫ সালে উচ্চ প্রাথমিকে চাকরি করে দেবেন বলে আট লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন। প্রথমে দু’ক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ছ’মাসের মধ্যে চাকরি করে দেবেন। কয়েক বছরেও চাকরি হয়নি। টাকা ফেরত চাইলে সুমিতবাবু এক লক্ষ টাকার চেক দিয়েছিলেন। সেই চেক ‘বাউন্স’ করে। তারপরে একাধিকবার চেয়েও টাকা মেলেনি। তাঁর খোঁজও মিলছিল না।’’

উদয়নারায়ণপুরের তৃণমূল বিধায়ক সমীর পাঁজারও অভিযোগ, ‘‘২০১৫ সালে নিজের প্রভাব খাটিয়ে বহু যুবক-যুবতীর থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছেন সুমিত। ওই সব যুবক-যুবতী নির্বাচনের আগে সুমিতের হয়ে খেটেছিলেন। তাঁরাই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।’’ উপযুক্ত তদন্তের দাবি তুলেছেন সমীরবাবুও।

দলীয় নেতার গ্রেফতারি নিয়ে হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপি সভাপতি অরুণ উদয় পাল চৌধুরী বলেন, ‘‘যখনকার কথা বলা হচ্ছে, তখন উনি (সুমিত) বিজেপিতে ছিলেন না। বিধানসভা নির্বাচনের কিছুদিন আগে বিজেপিতে যোগ দেন। নির্বাচনে হারার পর খুব বেশি দলের জেলা কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন না। তিনি যদি সত্যিই অপরাধী হন, তা হলে সাজা হবে। আইন আইনের পথে চলবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন