Dilip Ghosh

Dilip Ghosh: জেরা নয় ‘রেজাল্ট’ চাই, সিবিআই তদন্তে ‘অসন্তুষ্ট’ দিলীপ কি গ্রেফতারি চাইছেন?

বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই রাজ্যে তৃণমূল সন্ত্রাস চালাচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপির। আদালতেও এ নিয়ে মামলা হয়। তদন্তে সিবিআইকে নিয়োগ করেছে আদালত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২২ ০৯:০০
Share:

ফাইল চিত্র।

শুধু তদন্ত করলে হবে না, সিবিআইয়ের কাছে ‘রেজাল্ট’ দেখতে চান বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। আনন্দবাজার অনলাইনের ইউটিউব ও ফেসবুক লাইভ আড্ডা ‘অ-জানাকথা’য় অংশ নিয়ে স্পষ্টতই অভিযুক্ত নেতাদের গ্রেফতারির দাবি তুললেন দিলীপ। বিভিন্ন অভিযোগে চলা সিবিআই তদন্ত প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি শনিবার রাতে বলেন, ‘‘তদন্ত নয়, রেজাল্ট হওয়া দরকার আছে।’’

Advertisement

বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই রাজ্যে শাসক তৃণমূল সন্ত্রাস চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে এসেছে বিজেপি। আদালতেও এ নিয়ে মামলা হয়। সেই তদন্তে সিবিআইকে নিয়োগ করেছে আদালত। ইতিমধ্যে সেই তদন্তে তৃণমূলের অনেক নেতাকেই জেরা করা হয়েছে বা সমন পাঠিয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় সংস্থা শ্লথ গতিতে এগোচ্ছে বলেও বিজেপি শিবিরের অভিযোগ রয়েছে। তবে দিলীপের আগে কোনও নেতাই এ নিয়ে এ ভাবে প্রকাশ্য মুখ খোলেননি। সিবিআই সক্রিয় না হলে আদালত অবমাননার পাশাপাশি মানুষের আস্থাও হারাবে বলে মন্তব্য করেন দিলীপ। তিনি বলেন, ‘‘মানুষ আদালতে গিয়েছিল ন্যায়বিচার চেয়ে। আদালত নির্দেশ দিয়েছে। তাই সক্রিয় না হলে আদালত অবমাননা করা হবে এবং মানুষের আস্থা নষ্ট হবে।’’

তৃতীয় তৃণমূল সরকার গঠনের পরে শুধু ‘ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস’-এর অভিযোগেই নয়, আরও এক ডজনের উপরে অভিযোগের তদন্তের ভার সিবিআইকে দিয়েছে আদালত। এর মধ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে জেরা করেছে সিবিআই। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকেও একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ওই সংস্থা। অন্য একটি মামলায় সমন পাঠালেও তা এড়িয়ে গিয়েছেন অনুব্রত। তবে কি এই নেতাদের সিবিআইয়ের গ্রেফতার করা উচিত বলে মনে করেন দিলীপ? সে প্রশ্নের উত্তর না পাওয়া গেলেও তাঁর বক্তব্য থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট যে, সিবিআইয়ের ভূমিকায় সন্তুষ্ট নন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। তিনি বলেন, ‘‘সিবিআই যদি কাউকে ভুবনেশ্বর পাঠাতে পারে, তা হলে এ বার তো আরও ভয়ঙ্কর অপরাধ হয়েছে। যেমন কোটি কোটি টাকা লুটপাটের আর্থিক অপরাধ হয়েছে, তেমনই হিংসা হয়েছে। মানুষকে খুন করা হয়েছে, ধর্ষণ করা হয়েছে। তার জন্য আরও সক্রিয় হয়ে আইনের হাতে নিয়ে যাওয়া উচিত।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন